• facebook
  • twitter
Monday, 8 December, 2025

বাক স্বাধীনতায় অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা চাপাল না শীর্ষ আদালত 

দিল্লি, ৩ জানুয়ারি– ভারতের রাজনীতিতে নেতাদের কুবাক্যের রাজনীতি সবারই জানা। একে অপরকে বিঁধতে কোনও কিছুই বাদ দেননা তারা। বহুবার বহু নেতা অশ্লীল বাক্যে বিপক্ষকে বিঁধে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন। সেই মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও যে সেই বাক স্বাধীনতায় হাত তুলে দিল এবার। বাক স্বাধীনতার প্রশ্নে বিধায়ক, সাংসদদের উপরে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি

দিল্লি, ৩ জানুয়ারি– ভারতের রাজনীতিতে নেতাদের কুবাক্যের রাজনীতি সবারই জানা। একে অপরকে বিঁধতে কোনও কিছুই বাদ দেননা তারা। বহুবার বহু নেতা অশ্লীল বাক্যে বিপক্ষকে বিঁধে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন। সেই মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও যে সেই বাক স্বাধীনতায় হাত তুলে দিল এবার। বাক স্বাধীনতার প্রশ্নে বিধায়ক, সাংসদদের উপরে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট । বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারাই কার্যকর হবে তাঁদের জন্যও। যেমনটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর। মঙ্গলবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ। সাধারণ মানুষের মতোই সরকারি কাজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন একজন নেতা, বললেন বিচারপতিরা। 

জনপ্রতিনিধিরা কী বলতে পারেন, কী পারেন না। তাঁদের বাক স্বাধীনতায় কোনও বিধিনিষেধ জারি করা উচিত কিনা। এই সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, অতীতে বেশ কিছু এমন ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য উসকানির কাজ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করার বিধান। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের জন্য নয়া কোড অব কন্ডাক্ট লাগু করার দাবি উঠেছে। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে বহু মামলা।

Advertisement

২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর তেমনই এক মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠায়। সদ্য শেষ হওয়া বছরের ১৫ নভেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত করে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেদিন মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হোন বা সরকারী কর্মচারি। সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা আছে, তেমনই অনুচ্ছেদ ১৯(২) মোতাবেক কারও এমন কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই, যার জেরে অন্য সহ নাগরিকের সম্মানহানি হয়। তাই আলাদা করে কোনও কোড অব কন্ডাক্টের প্রয়োজন নেই।

Advertisement

Advertisement