দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর– ‘তৃণমূলের সঙ্গে কখনোই না’, এই সিদ্ধান্তেই অনড় বামেরা। অথচ তারাও ইন্ডিয়া জোটের শরিক। তাই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই ইন্ডিয়া জোটের শরিক সিপিএম সমন্বয় কমিটিতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও পুরোপুরি জোট থেকে বেরিয়ে যেতেও নারাজ বামেরা। সমন্বয় কমিটির বাইরে থেকেও জোটসঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
গত কয়েকদিনে জোটের তিনজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সীতারাম। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ইয়েচুরি। তার আগের দিন ওই বাড়িতেই ছিল ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠক। এরপর আবার গত বুধবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী করার কথা বলেন সীতারাম। বৃহস্পতিবার ইয়েচুরি গিয়েছিলেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। ইয়েচুরির কথা হয় লালুপুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও।
Advertisement
শরদ পওয়ারকে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দেখা হচ্ছে সঙ্গে তিনি সমন্বয় কমিটির প্রবীণতম সদস্য। আর নীতীশ কুমার এই জোটের অন্যতম প্রধান হোতা। এর বাইরে কংগ্রেসের সঙ্গেও সিপিএম নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে শোনা যাচ্ছে। সিপিএমের বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করা সিপিএমের লক্ষ্য। কিন্তু সেজন্য তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে যাওয়া হবে না। তাছাড়া এই ধরনের জোটে আলাদা করে যৌথ সাংগঠনিক কাঠামোর প্রয়োজন হয় না বলেই মত সিপিএমের। তাই দল দ্বিমুখী অবস্থান বনায় রেখে চলেছেন। কিন্তু বঙ্গে তৃনমুল-সিপিএম যে আদায় কচকলায় সম্পর্ক তাতে এই অবস্থান কর্মীরা বুঝবে কিনা তাই এখন বড় প্রশ্ন বামেদের ক্ষেত্রে। যদিও কর্মীদের এই অবস্থানকে উপেক্ষা করেই সিপিএমের সাফ কথা, ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই ধরনের বৈঠক চলবে । তবে কোনও সাংগঠনিক কাঠামোতে পার্টি থাকবে না।
Advertisement
Advertisement



