• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নামমাত্র বেতনে নিরলস পরিশ্রম , আবেগই মূল চালিকাশক্তি ইসরোর

 বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার পর অবশেষে এসেছে সাফল্য।  চন্দ্রযান-৩ -এর সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।  ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর থেকেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার  বিজ্ঞানীরা। অবশেষে বুধবার ভারতের স্বপ্ন চাঁদকে স্পর্শ করেছে।  বহু গবেষকের পরিশ্রমকে সার্থক করে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা চাঁদের গাড়ি চাঁদে নেমেছে। সারা দেশের

 বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার পর অবশেষে এসেছে সাফল্য।  চন্দ্রযান-৩ -এর সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।  ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর থেকেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার  বিজ্ঞানীরা। অবশেষে বুধবার ভারতের স্বপ্ন চাঁদকে স্পর্শ করেছে।  বহু গবেষকের পরিশ্রমকে সার্থক করে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা চাঁদের গাড়ি চাঁদে নেমেছে। সারা দেশের বাহবা ও হাততালি কুড়িয়েছেন এই বিজ্ঞানী মহল।  অথচ এত আলোর পিছনে রয়েছে অন্ধকার দিকও. অনেক সীমিত পরিকাঠামো এবং স্বল্প বেতনে অমানুষিক পরিশ্রম করে যান গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য দেশের তুলনায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের বেতন অনেক, অনেকটাই কম।        
বেতন কম তো বটেই, তার পাশাপাশি রয়েছে অনিয়মিত বেতন।  যাঁরা প্রাণপাত পরিশ্রম করে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করেন তাঁদের একাংশ ১৭ মাস ধরে বেতন পাননি। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাঁচির হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েও ১৭ মাসের বেতন পাননি।  অথচ, এই চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের জন্য লঞ্চিইং প্যাড সহ বহু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে এই সংস্থা। এমনও জানা গেছে গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এই সংস্থায় কাজ করেন তিন হাজার ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মী।  বেতন না পেলেও সব কিছু ভুলে চন্দ্রজান-৩ -এর সফল উৎক্ষেপণের আনন্দে ভেসেছেন তাঁরা।   
       
প্রসঙ্গত , প্রাক্তন ইসরো প্রধান মাধবন নায়ার আক্ষেপ করে বলেন, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের পক্ষেই এটা সম্ভব। ইসরোর বিজ্ঞানীরা উন্নত দেশের বিজ্ঞানীদের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ বেতনও পান না। ইসরোর বিজ্ঞানীরা কেউই কোটিপতি নন। তিনি বলছেন, বিজ্ঞানীরা কেউই বিরাট প্রাচুর্য নিয়ে বাঁচেন না। আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা টাকার কথা ভাবেন না। ওঁরা আবেগ দিয়ে কাজ করেন।”
গত কয়েক দশকে সাফল্যের বহু ধাপ পেরিয়েছে ইসরো। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই চন্দ্রযান ৩ ‘মুন মিশন’-এ ইসরোর খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। মাধবন নায়ার বলেন, বিজ্ঞানীদের কম বেতনটাই ইসরোর অ্যাডভান্টেজ। কম বেতনে কাজ করার অভ্যাসটাকেই কাজে লাগিয়েছে ইসরো।
তিনি বলছেন,”সামান্য টাকায় কাজ করাটা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভ্যেস। টাকা নিয়ে ওঁরা ভাবেন না। ওঁরা নিজেদের লক্ষ্য স্থির রেখে  আবেগ দিয়ে কাজ করেন। ঠিক সেজন্যই আজ এতটা সফল ইসরো। 

Advertisement

Advertisement