দিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর– সংসদের পুরনো ভবনকে বিদায় জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে পথ চলা শুরু হল নতুন ভবনে। যার পোশাকি নাম ‘পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়া’। হাজারও বিতর্ক, বিরোধীদের অনুষ্ঠান বয়কট-সহ একাধিক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে পূজাপাঠ শেষে গত ২৮ মে সংসদের নয়া ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ভবনের শুরুর দিনে সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ভাষণ। কিন্তু কোথাও নেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
আগেও অবশ্য প্রধানমন্ত্রী কেন নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। আর এদিন রাষ্ট্রপতির না থাকাটা নতুন অস্ত্র তুলে দিল বিরোধীদের হাতে। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রপতি কোথায়? নয়া ভবনে সংসদের পথ চলা শুরুর দিনে তিনি নেই কেন? এই প্রশ্ন তুলে এবার টুইটে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ।
Advertisement
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ডেরেক লিখেছেন, “আজ কোথায় ছিলেন মাননীয় ভারতের রাষ্ট্রপতি। সংসদের সেন্ট্রাল হলের ‘অনুষ্ঠানে’? তিনি কি আমন্ত্রিত ছিলেন? কেন তাঁকে উপেক্ষা করা হল? ”
Advertisement
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে বিরোধীরা গড়ে তুলেছে ইন্ডিয়া জোট। এমন আবহে প্রচারের অভিমুখ মোদি যে নিজের দিকেই রাখবেন সেটা বলাইবাহুল্য। সেকারণেই হাজারও বিতর্ক, বিরোধীদের অনুষ্ঠান বয়কট-সহ একাধিক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে আজ নয়া ভবনে পথ চলা শুরুর প্রথম দিনেও সেন্ট্রাল হলের মধ্যমণি হয়ে থাকলেন মোদি নিজে।
শুধু তৃণমূল নয়, একযোগে মোদির এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, ভারতের রাষ্ট্রপতি যখন অধিবেশন ডাকেন, একমাত্র তখনই সংসদ বসতে পারে। রাষ্ট্রপতিই যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বার্ষিক সংসদীয় কার্যক্রম শুরু করেন। তার ভাষণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েই প্রতিবছর সংসদের কাজ শুরু হয়। কিন্তু যেভাবে সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে পথ চলার শুরুর দিনেও রাষ্ট্রপতিকে এড়িয়ে যাওা হল তা দেশের ইতিহাসে কালোদিন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মনে করছে বিরোধীরা।
Advertisement



