• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রথম কান্না নয় মাচ্ছু ঘিরে, ৪৩ বছর আগেও ২০ হাজারের প্রাণ নেয় 

ভদোদরা, ২ নভেম্বর– মোরবী, নাম শুনলেই ভেসে উঠছে ১৪১ জনের নিথর দেহ। তাদের ঘিরে পরিজনদের কান্নার রোল। সেতু দুর্ঘটনার পর গুজরাতের এই শহরের নাম আজ কারও অজানা নেই। গত রবিবার মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। নিখোঁজ অজস্র।  তবে জানেন কি  মাচ্ছু  ঘিরে এই কান্নার রোল প্রথম শোননি দেশ। প্রায় ৪৩

ভদোদরা, ২ নভেম্বর– মোরবী, নাম শুনলেই ভেসে উঠছে ১৪১ জনের নিথর দেহ। তাদের ঘিরে পরিজনদের কান্নার রোল। সেতু দুর্ঘটনার পর গুজরাতের এই শহরের নাম আজ কারও অজানা নেই। গত রবিবার মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। নিখোঁজ অজস্র। 

তবে জানেন কি  মাচ্ছু  ঘিরে এই কান্নার রোল প্রথম শোননি দেশ। প্রায় ৪৩ বছর আগে ১৯৭৯ সালে মাচ্ছু কেড়ে নিয়েছিল ২০ হাজারের প্রাণ। দু’দিন আগে ঘটে যাওয়া বিপর্যয় ১৯৭৯ সালের বিপর্যয়কে মনে করিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

রাজকোট জেলার জাসদান সর্দার এবং মান্ডোয়া পাহাড় এবং সুরেন্দ্রনগর জেলার চোটিলা থেকে উৎপত্তি মাচ্ছু নদীর। তার পর সেই নদী মালিয়া, মোরবী, ওয়াঙ্কানের, জাসদান এবং রাজকোটের মধ্যে গিয়ে বয়ে গিয়েছে। ১৯৭৯ সালের অগস্টে এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল মাচ্ছু নদী। এই নদীর উপর তৈরি করা বাঁধে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল জলের। স্থানীয়দের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ জল বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জলের চাপে বাঁধের কিছুটা অংশ ভেঙেও যায়। সেই জল মোরবীকে গ্রাস করে।

Advertisement

২০১১ সালে প্রকাশিত ‘নো ওয়ান হ্যাড আ টাং টু স্পিক: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ ওয়ান অফ হিস্ট্রি’জ ডেডলিয়েস্ট ফ্লাড’ নামে বইতে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। ১৯৮০ সালে বাঁধটিকে নতুন করে তৈরি করা হয়।

Advertisement