যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু 

Written by SNS August 10, 2023 3:38 pm
কলকাতা, ১০ আগস্ট –  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরী হয়েছে। এই মৃত্যুতে জোরালো হচ্ছে রাগিংয়ের অভিযোগ। বুধবার গভীর রাতে হস্টেলের নিচে ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত, বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন কি না, সেই নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।  স্বপ্নদীপের পরিবার অভিযোগ জানানোর পর যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মৃত্যুর অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি তৈরী হয়েছে। তাতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হস্টেল সুপারের উপস্থিতিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি এই মৃত্যুর জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে।
স্বপ্নদীপ নদিয়ার বগুলার কলেজপাড়া এলাকায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে রাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।  স্বপ্নদীপকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাগিং করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই ঘটনা ঘটার আগে বুধবার রাতে তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।  তিনি তাঁর মাকে ফোনে জানিয়ে  ছিলেন, তিনি ভাল নেই। খুব ভয় করছে। স্বপ্নদীপ বলেছিলেন তাঁর এখানে পড়াশুনো করতে ভয় করছে। বৃহস্পতিবার স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুণ্ডু তাঁর ভাগ্নের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে ‘র‌্যাগিং’-এরই  অভিযোগ আনেন। যাদবপুর থানায় এফআইআর জানিয়েছেন অরূপ কুন্ডু । অভিজ্ঞ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 
হস্টেলের ছাত্রদের দাবি, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তাঁরা ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্বপ্নদীপ। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে। 

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।  সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গো য়েন্দারাও।  সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তদন্ত প্রক্রিয়া গতি পাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।