• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

হিরোশিমায় প্রথম মুখোমুখি মোদি – জেলেনস্কি 

দিল্লি, ১৯ মে –  জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানের হিরোশিমার উদ্দেশ্যে শুক্রবার পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুই নেতা পরস্পর মুখোমুখি হবেন। আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, জি ৭ শীর্ষ

দিল্লি, ১৯ মে –  জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানের হিরোশিমার উদ্দেশ্যে শুক্রবার পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুই নেতা পরস্পর মুখোমুখি হবেন। আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি আয়োজনের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল বলেও মন্ত্রক জানায়। এই বৈঠকগুলির মধ্যে, জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, জি ৭ বৈঠকে যোগ দিতে শনিবারই হিরোশিমায় আসবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ফলে ওই দিনই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর ‘দশ দফা শান্তি পরিকল্পনা’ প্রয়োগে ভারতের সমর্থন চেয়েছিলেন তিনি। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায় এই শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন জেলেনস্কি। ভারতের সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি ভারতের জি ২০ সভাপতিত্বের সাফল্যও  কামনা করেন। একইসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন যে, এই প্ল্যাটফর্মেই তিনি এই শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন। তাই সভাপতি হিসেবে তা প্রয়োগ করার দায়িত্ব ভারতেরই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, তিনি চান অবিলম্বে এই যুদ্ধ শেষ হোক। উভয় পক্ষ আলোচনা এবং কুটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যাবতীয় দ্বন্দ্বের সমাধান করুক। ওই বছরের অক্টোবর মাসেও দুই রাষ্ট্রনেতার টেলিফোনে কথোপকথন হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদিও জানিয়েছিলেন যে, যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে ভারত প্রস্তুত ।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারীতে রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ থেকেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বার্তা দিয়েছেন , “এটা যুদ্ধের যুগ নয়।” স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারত আলোচনার মাধ্যমে সব মতানৈক্যের সমাধানের পক্ষে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হয়েছিল হিরোশিমা। ভারত ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিঃসন্দেহে ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।