• facebook
  • twitter
Thursday, 11 December, 2025

প্রয়াত ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’  এম এস স্বামীনাথন

চেন্নাই, ২৮ সেপ্টেম্বর – প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন। স্বামীনাথনকে ভারতের ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’ বলা হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ চেন্নাইয়ে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় বেশ কিছুদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন,

চেন্নাই, ২৮ সেপ্টেম্বর – প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন। স্বামীনাথনকে ভারতের ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’ বলা হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ চেন্নাইয়ে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় বেশ কিছুদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ ডক্টর এম এস স্বামীনাথনজির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের দেশের ইতিহাসের এক অত্যন্ত সঙ্কটজনক অধ্যায়ে কৃষিক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছিল এবং আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘ কৃষিক্ষেত্রে তাঁর যুগান্তকারী অবদান ছাড়াও তিনি ছিলেন উদ্ভাবনী শক্তির আধার এবং আদর্শ পরামর্শদাতা। বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের প্রতি তাঁর অমূল্য পরামর্শ চিরস্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।  

 ১৯২৫ সালের ৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এম এস স্বমনাথন। দেশবিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কৃষি-সহ একাধিক বিষয়ে ডিগ্রী পেয়েছেন। দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। ছয়ের দশকে যে সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থা তথা সার্বিকভাবে ভারতের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছিল, সেটিও মূলত তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। 
দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক গবেষণা সংস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে কাজ করেছেন স্বামীনাথন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ভারতের কৃষি ও সেচমন্ত্রকের প্রধান সচিব ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার অধিকর্তা হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও।
কৃষি গবেষণায় অবদানের জন্য বহু সম্মানও পেয়েছেন। ১৯৬৭ সালে তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন। পদ্মভূষণ পান ১৯৭২ সালে। ১৯৮৯-এ তিনি পদ্মবিভূষণ সম্মান পান।  ১৯৮৭ সালে তাঁকে প্রথমবার বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে তিনি পান রামন ম্যাগসাইসাই সম্মান। ১৯৮৬ সালে দেওয়া হয় আইনস্টাইন বিশ্ব বিজ্ঞান পুরস্কার। কৃষিতে তাঁর যুগান্তকারী অবদান ভারতে ‘সবুজ বিপ্লব’ ঘটায়।  

Advertisement

Advertisement