কেশিয়ারিতে ভোট বাতিলের নির্দেশ অভিষেকের , নবজোয়ার যাত্রায় লোক কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ দলীয় বৈঠকে

২৯ মে — শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি করা হয়। সূত্রের খবর, সেই নির্বাচনে যাঁরা অঞ্চল সভাপতি হিসেবে ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই দলের ব্লক সভাপতি অনুমোদন দেননি। শুধুমাত্র বিধায়কের অনুমোদন পেয়েই ভোট দিতে চলে এসেছিলেন তাঁরা। সেকথা জানতে পারার পরেই রবিবার শালবনীতে দলের পর্যালোচনা বৈঠকে কেশিয়াড়ির প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট বাতিল করার নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।

একই সঙ্গে, শনিবারের নবজোয়ার যাত্রায় প্রত্যাশিত লোক না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেদিন জনসংযোগ যাত্রায় খড়্গপুরের চৌরঙ্গী থেকে ধর্মা, গোদপিয়াল হয়ে শালবনীর সবার স্থলে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। সূত্রের খবর, চৌরঙ্গীতে অন্তত ৮০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকেরও কম মানুষ হাজির হয়েছিলেন সেখানে। শালবনীর সভাতেও নাকি যথেষ্ট লোক হয়নি। তারপরেই রবিবার শালবনীতে দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অভিষেক। জেলার বিভিন্ন ব্লক ধরে ধরে সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কদের সতর্ক করেন তিনি। সেখান থেকেই কেশিয়াড়ির ভোট বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মুর দাবি, ভোট বাতিল দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি জানিয়েছেন, ব্লক সভাপতিকে সই করার জন্য ডাকা হলেও তিনি আসেননি। ভোটার তালিকায় অনুমোদন দিয়েছিলেন জেলা সভাপতি।