• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

পাকিস্তানে বিনিয়োগ করে বিপাকে কাশ্মীরিরা, মাফিয়াদের হাতে খুন অন্তত ১২

দেনায় জর্জরিত পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দারা। কিন্তু সেদেশের আর্থিক সংকটের কারণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। মূলত মাফিয়া রাজের কারণেই বিনিয়োগে লোকসান হচ্ছে বলেই দাবি কাশ্মীরিদের। কিন্তু সেই কথা প্রকাশ্যে আনার জেরে মাফিয়াদের হাতে খুন হতে হচ্ছে বলেই দাবি ভুক্তভোগীদের। গত বছর থেকেই ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

Indian Central Reserve Police Force (CRPF) personnel stand guard on a street in Srinagar, October 12, 2021. REUTERS/Danish Ismail

দেনায় জর্জরিত পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দারা। কিন্তু সেদেশের আর্থিক সংকটের কারণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। মূলত মাফিয়া রাজের কারণেই বিনিয়োগে লোকসান হচ্ছে বলেই দাবি কাশ্মীরিদের। কিন্তু সেই কথা প্রকাশ্যে আনার জেরে মাফিয়াদের হাতে খুন হতে হচ্ছে বলেই দাবি ভুক্তভোগীদের।

গত বছর থেকেই ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি দেনার ভারে কার্যত ভেঙে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিরা দেশের কোনও ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। ফলে ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর-সহ একাধিক শহরে বিনিয়োগ করেছেন ভারতীয়রা। মূলত জম্মু কাশ্মীরের ধনী জনতার অধিকাংশই পাকিস্তানে বিনিয়োগ করেছেন।

কিন্তু বিনিয়োগ করার পরে একেবারেই লাভের মুখ দেখেননি তাঁরা। উলটে বিপুল পরিমাণে লোকসান হয় ভারতীয়দের। জানা গিয়েছে, আর্থিক সংকটের কারণে দেশের নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে পাকিস্তানের মাফিয়াদের অধিকাংশ। লোকসানের পর মাফিয়াদের প্রশ্ন করার অপরাধে অন্তত ১২ জন ভারতীয়কে খুন করা হয়েছে বলেই খবর। এই হত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি।

এহেন ঘটনার পর কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছ। পাকিস্তানে যেন বিনিয়োগ না করা হয়, এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের। আরও জানা গিয়েছে, বিনিয়োগের কাজে পাকিস্তানে গিয়ে থাকার জায়গাও পাননি গিলগিটের মতো পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনতা। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে প্রকাশ্যে খুন করা হয় আজম খানকে। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কোথায়?