শিক্ষাঙ্গনে পাগড়িতে আপত্তি না থাকলে হিজাবে কেন, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

Written by SNS September 9, 2022 5:21 pm

দিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর– কর্নাটকের শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এরফলে মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারছে না। সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হওয়া গুচ্ছ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। আগের শুনানিতে বিতর্কের বিষয় ছিল পাগড়ি ও হিজাবের তুলনা। সুপ্রিম কোর্টেরবিচারপতির মতে, পাগড়ি পরার সঙ্গে ধর্মাচরণের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা ধর্মীয় পোশাকও নয়।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় মুসলিম পক্ষকে জিজ্ঞাসা করে যে ইসলামে নামাজ বাধ্যতামূলক না থাকলেও মুসলিম মহিলাদের জন্য হিজাব কীভাবে প্রয়োজনীয় এবং বাধ্যতামূলক হয়ে উঠল। হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ইসলামে নমাজ পড়া বাধ্যতামূলক বলা হয়নি। হিজাব তা হলে আবশ্যিক কেন? অন্যদিকে, মামলাকারীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, শিখ শিক্ষার্থীরা পাগড়ি পরে শিক্ষাঙ্গানে যেতে পারলে মুসলিম মেয়েরা কেন হিজাব পরে প্রবেশ করতে পারবে না।

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ আবেদনকারী ফাতমা বুশরার আইনজীবী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন পাশাকে এই প্রশ্নটি করে। পাশা আদালতে তাঁর যুক্তিতে বলেছিলেন যে ইসলামে তার অনুসারীদের পাঁচটি নীতি (নমাজ পাঠ, রোজা রাখা ইত্যাদি) অনুসরণ করতে বাধ্য করার কোনও অনুশাসন নেই। তখনই বেঞ্চ প্রশ্ন তোল, ‘অস্থায়ী শাস্তির অনুপস্থিতিতে, পাঁচটি প্রধান ইসলামিক নীতি যদি মুসলমানরা বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ না করে, তাহলে মুসলিম মহিলাদের জন্য হিজাবকে কীভাবে আবশ্যিক বলা যায়।’

কিন্তু পাশার যুক্তি, নবী বলেছিলেন, একজন মহিলার কাছে পর্দা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কোরান বলেছে, নবীর বাণী অনুসরণ করতে। একজন মুসলিম মেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হিজাব পরতে পছন্দ করে। সরকার তাহলে কীভাবে হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশাধিকার কেড়ে নিতে পারে?