আমি আগে যা বলেছি, সেই সিদ্ধান্তেই স্থির থাকব; প্রধান বিচারপতি 

Written by SNS October 25, 2023 7:57 pm

New Delhi, Sep 06 (ANI): Chief Justice of India (CJI) Justice Uday Umesh Lalit, Supreme Court of India Judges, Justice DY Chandrachud, and Justice Sanjay Kishan Kaul during the inauguration of the Centre for Citizen Services of National Legal Service Authority, at Jaisalmer House, in New Delhi on Tuesday. (ANI Photo)

দিল্লি, ২৫ অক্টোবর – সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত রায় দেয়, বিশেষ বিবাহ আইনে এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ওই আইন পরিবর্তন করতে হলে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বিয়ের সমান মর্যাদা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ও তাঁদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার নিয়ে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চেও সহমত হাওয়া যায়নি । প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এস কে কউল সংখ্যালঘুর রায়ে ওই দুই বিষয়কে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অন্য তিন বিচারপতি বিরোধিতা করে জানান, এমন সম্পর্ককে একমাত্র আইনসভাই আইন তৈরি করে স্বীকৃতি দিতে পারে।

বুধবার ওয়াশিংটনের ‘জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি ল সেন্টার’ এবং দিল্লির ‘সোসাইটি ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস’ আয়োজিত একটি আলোচনাসভায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানালেন, বিয়ের সমানাধিকার প্রসঙ্গে তিনি নিজের অবস্থানে স্থির থাকবেন। শীর্ষ আদালতের সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে রায় না দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, কখনও নৈতিক বোধ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কখনও সংবিধান থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এবং আমি আগে যা বলেছি, সেই সিদ্ধান্তেই স্থির থাকব।’’

সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে জমে থাকা মামলাগুলি একত্রিত করে গত জানুয়ারি মাসে একসঙ্গে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। গত ১৭ অগস্ট তার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।  ১৭ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিনও প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, আদালত আইন তৈরি করবে না, আইন তৈরি করবে আইনসভা। ‘পারসপেকটিভ ফ্রম দ্য সুপ্রিম কোর্ট অব ইন্ডিয়া অ্যান্ডদ্য ইউনাইটেড স্টেটস’— এই শীর্ষক সভাটিতে  সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনের প্রভাব নিয়ে কথা হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতিরা হয়তো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন, কিন্তু সমাজে তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, প্রযুক্তির প্রভাবে সমাজে দ্রুত বিবর্তন ঘটছে, কিন্তু বিচারব্যবস্থার প্রভাব এখনও স্থিতিশীল।

এদিনের আলোচনাসভায় প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপের অধিকার নিয়েও কথা ওঠে। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নই, যদিও আমি বিশ্বাস করি বিচারপতিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ’’