• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

হিমেশের ২২ বছরের সংসারে ছেদ পড়ে সোনিয়ার জন্য  

বলিউডে ঘর ভাঙা আর নতুন ঘর বাধার গল্প খুবই সাধারণ।সীনে জগতের শিল্পীদের যেমন প্রেমে পড়তে সময় লাগে না আবার সেই সম্পর্ক ভাঙতেও সময় লাগে না। বর্তমানে তার অহরহ প্রমাণ আছে। সাইফ থেকে আমির বিয়ে করেছেন আবার বিয়ে ভেঙেছেন পুরো খোলাখুলি। অনেকে তো আবার স্ত্রী/স্বামীর বন্ধু-বান্ধবীর প্রেমে পড়ে সুখের সংসার ভেঙেছেন। যেমন ধরুন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক

বলিউডে ঘর ভাঙা আর নতুন ঘর বাধার গল্প খুবই সাধারণ।সীনে জগতের শিল্পীদের যেমন প্রেমে পড়তে সময় লাগে না আবার সেই সম্পর্ক ভাঙতেও সময় লাগে না। বর্তমানে তার অহরহ প্রমাণ আছে। সাইফ থেকে আমির বিয়ে করেছেন আবার বিয়ে ভেঙেছেন পুরো খোলাখুলি। অনেকে তো আবার স্ত্রী/স্বামীর বন্ধু-বান্ধবীর প্রেমে পড়ে সুখের সংসার ভেঙেছেন। যেমন ধরুন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার গল্প। হিমেশের সঙ্গে অভিনেত্রী সোনিয়া কাপুরের প্রেমের গল্প জানে গোটা বলিউড। প্রায় ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু জানেন কী, হিমেশের প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সোনিয়া ছিলেন খুব ভাল বন্ধু! একে অপরের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল তাঁদের। সেইসময়েই বন্ধুর স্বামীর প্রেমে পড়ে যান সোনিয়া। সাড়া মেলে হিমেশের দিক থেকেও। এবং শেষ অবধি নতুন সংসার বাঁধেন তাঁরা।

বলিউডে ডেবিউ করার আগেই ১৯৯৫ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী কোমলের সঙ্গে টানা ২২ বছর সংসার করেছিলেন এই প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক। এদিকে বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই ১৯৯৮ সালে সলমন খানের ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন হিমেশ। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি। ‘তেরে নাম’, ‘আশিক বানায়া আপনে’র মতো একাধিক ছবিতে তাঁর গান শ্রোতাদের মন জয় করে।

সেইসময়েই ইন্ডাস্ট্রিতে সোনিয়া কাপুরের সঙ্গে পরিচয় হয় হিমেশ ও কোমলের। সেখান থেকে বন্ধুত্বের সূত্রপাত, এবং ধীরে ধীরে তা প্রেমের দিকে বাঁক নেয়। অবশেষে ২০০৬ সালে দাম্পত্যে প্রথম ফাটল ধরে। শুরু হয় একাধিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য। তবে কেউই তখনও সংসার ভাঙার কথা ভাবেননি। অবশেষে ২০১৭ সালে এসে আলাদা হয়ে যান হিমেশ ও কোমল।

২২ বছরের সংসার ভেঙে বেরোনোর পর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন হিমেশ রেশমিয়া। বিয়ে করেন বান্ধবী সোনিয়া কাপুরকে। যদিও ডিভোর্সের কারণ হিসেবে কোনওদিন সোনিয়াকে কাঠগড়ায় তোলেননি কোমল। তিনি দাবি করেন, “দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতের মিল না হওয়ায় তাঁরা আলাদা হয়ে গিয়েছে। এতে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির হাত নেই।”