ইজরায়েলি হানায় নিশ্চিহ্ন পরিবার, কান্নায় ভেঙে পড়লেন শোকাহত সাংবাদিক 

Written by SNS October 26, 2023 4:39 pm

গাজা, ২৬ অক্টোবর – ফের ইজরায়েলি সেনার হানায় সংবাদমাধ্যম।  রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা  হারিয়েছেন আগেই।  এবার  পশ্চিম এশিয়ায় ইজরায়েলি সেনার হামলার  নিশানা হল আল জাজিরার ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ের পরিবার।  আল জাজিরার গাজা ব্যুরোর প্রধান দাহদৌয়ের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা ইজরায়েলি বিমানহানার শিকার হন বৃহস্পতিবার। আল জাজিরার প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলি বিমানহানার সময় মধ্য গাজ়ার নুসেরত ক্যাম্প এলাকার দাহদৌয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। বিমান থেকে ছোড়া ‘এয়ার টু সারফেস ’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন দাহদৌয়ের স্ত্রী এবং দুই সন্তান।

কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা।  আর এবার ইজরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ গেল আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ের গোটা পরিবার। জানা গিয়েছে, দাহদৌয়ের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা বৃহস্পতিবার প্রাণ হারান। ইজরায়েলি বিমান হামলাতেই তাঁরা মারা যান বলে জানা গিয়েছে। দাহদৌয়ের কাছে যখন সেই খবর এসে পৌঁছায়, তখন তিনি কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন। গাজার রাস্তায় সাংবাদিকদের সঙ্গে খবর সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে পরিবারের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে রাস্তাতেই ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।  তাঁর সেই কান্নার ভিডিয়ো  ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 
এর আগে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রে  মৃত্যু হয়েছিল রয়টার্সের সাংবাদিকের। ঘটনাটি ঘটে লেবাননে। সেই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন আরও ৬ সাংবাদিক। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে আচমকাই ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। এই সুযোগে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালানো হয় লেবানন থেকেও। অভিযোগ, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাচ্ছে লেবানন থেকে। লেবাননকে পালটা জবাব দেয়  ইজরায়েলও। সেই জবাবি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল রয়টার্সের সাংবাদিকের। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল সীমান্তের কাছে লেবাননের আলমা আল-শাবের কাছে ছিলেন আলজজিরা, এএফপি সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সেখানেই উড়ে আসে ইজরায়েলের রকেট। সেই সময় মৃত্যু হয় রয়টার্সের সাংবাদিকের। ঘটনায় রয়টার্সের আরও দুই সাংবাদিক, আলজজিরার ২ সাংবাদিক সহ মোট ৬ সাংবাদিকও এই হামলায় জখম হন।
জানা গিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেরত ক্যাম্প এলাকায় ছিল দাহদৌয়ের বাড়ি। সেখানেই থাকতেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান। অভিযোগ, ইজরায়েলের এক যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ‘এয়ার টু সারফেস’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় সাংবাদিকের পরিবারের। সেই ঘটনায় আরও অনেক প্যালেস্তিনীয় নাগরিক হতাহত হন বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইজরায়েল। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস, সেখানে কেন হামলা চালাল ইজরায়েল।
 
অসামরিক ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় ইজরায়েলি বিমানহানায় আরও বহু সাধারণ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক হতাহত হন বলে অভিযোগ।  যদিও এ বিষয়ে ইজ়রায়েল সেনা বা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।