• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সল্টলেকে ছাগলের ব্যবসার আড়ালে কয়েক কোটি টাকার মাদকের ব্যবসা , গ্রেফতার ৩

কলকাতা , ১৬ মার্চ – সল্টলেকের সেক্টর ফোরের চার নম্বর ভেড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক।  পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগার থেকে মাদক তৈরির রাসায়নিক। উদ্ধার হওয়া মাদকের বর্তমান

কলকাতা , ১৬ মার্চ – সল্টলেকের সেক্টর ফোরের চার নম্বর ভেড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক।  পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগার থেকে মাদক তৈরির রাসায়নিক। উদ্ধার হওয়া মাদকের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সেই ছাগলের খোঁয়াড়ে হানা দিয়ে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। উদ্ধার হল ৫ কেজি মাদক।  ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে। 

ধৃত মোমিন খান এবং মেহতাব বেগম পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মাদকদ্রব্য ছাড়াও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু অলংকার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মাদকের খোঁজে বুধবার প্রথমে অভিযান চালায় পার্ক সার্কাসের একটি ঠিকানায় সেখান থেকেই মোমিন খানের সল্টলেকের ঠিকানা পায় পুলিশ।তারপর বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর এই মাদকচক্রের মূল পান্ডা ছিলেন মহম্মদ মোমিন খান এর স্ত্রী। তার স্ত্রী এর আগেও পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাইরে ছিলেন তিনি। ফের একবার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাকে এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিধান নগর দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিপুল পরিমাণ মাদক কোথা থেকে এল এবং তাকে কিভাবে হাত বদল করে পাচার করা হতো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এর পেছনে আর কোন বড় চক্র কাজ করছে কিনা তাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement