• facebook
  • twitter
Monday, 2 December, 2024

সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ হারিয়ে এখন দিলীপ ঘোষ শুধুই বিজেপি সাংসদ

দিল্লি, ২৯ জুলাই–  চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক নেতৃত্বে রদবদল ঘটাল বিজেপি। শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন কর্মসমিতির তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেখানে স্থান পাননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদও খোয়ালেন দিলীপ ঘোষ। এখন তিনি শুধুই বিজেপি সাংসদ। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফে কেন্দ্রীয় পদারিকারীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে

দিল্লি, ২৯ জুলাই–  চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক নেতৃত্বে রদবদল ঘটাল বিজেপি। শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন কর্মসমিতির তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেখানে স্থান পাননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদও খোয়ালেন দিলীপ ঘোষ। এখন তিনি শুধুই বিজেপি সাংসদ।

গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফে কেন্দ্রীয় পদারিকারীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে নাম দিলীপ ঘোষের নাম না থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন তিনি? নাকি আবারও রাজ্য নেতৃত্বে নতুন কোনও ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভায় হয়তো জায়গা পেতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে তা ভবিষ্যতের কথা। আপাতত তাঁর পরিচয় কেবল মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।

তবে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁদের কর্মসমিতিতে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, নয়া কমিটির তালিকায় বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে একমাত্র থেকে গিয়েছেন অনুপম হাজরা। কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদেই বহাল রইলেন তিনি। তাঁর উপর ফের আস্থা রাখার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনুপম।

উল্লেখ্য, দিলীপ সভাপতি পদে থাকাকালীন বাংলায় লোকসভার ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তাঁর মেয়াদেই বিধানসভায় ৩টি থেকে বেড়ে ৭৭টি আসনে পৌঁছেছে গেরুয়া দল। সেই দিলীপকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।  বিজেপি সূত্রে খবর, বার বার তাঁর মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা সত্ত্বেও দিলীপ তাতে কান দেননি। এই কারণেই তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানো হল। বিজেপির অন্য শিবিরের মত, যে হেতু সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই সাংসদ দিলীপকে নিজের এলাকায় সময় দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সর্বভারতীয় দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

গত কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল দিলীপকে সর্বভারতীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে পরে দলীয় পদ থেকে সরানোই দস্তুর। তবে তার আগেই দিলীপকে সর্বভারতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। বিজেপি শিবির বলছে, অনেক দিন ধরেই দিলীপকে নিয়ে অসন্তোষ ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। নিজের মতো করে কাজ করে, মন্তব্য করে তিনি দলের অনুশাসন মানছেন না বলে অভিযোগ ছিল। সেই কারণেই এটা একটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।

তবে দিলীপ ঘোষের পদ যাওয়া নিয়ে বলতে ছাড়েননি প্রাক্তন বিজিপির মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষই তাঁর দিকে ছুড়ে দিয়ে বাবুলের মন্তব্য, “অবশেষে বাংলা বিজেপির ঠোঁট সিল করে দেওয়া হল। উনি এবার নিজের ওষুধের স্বাদ বুঝবেন। এত বছর দল করার পর উনি ঝুনঝুনি পেয়েছেন। এখন উনি নিশ্চয়ই বুঝবেন পরিশ্রম করে জেতা সাংসদ পদ কেন আমি ওঁদের মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে এসেছিলাম।”

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি সাংসদ পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় সে সময়ে বাবুলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ওঁকে ঝুনঝুনি দেবে’।