‘ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগ সত্যি’, ট্রুডোর পাশে দাঁড়িয়ে মত অস্ট্রেলিয়ার

Written by Sunita Das October 20, 2023 5:11 pm

কেনবেরা, ২০ অক্টোবর– খালিস্তানি প্রসঙ্গে ভারত-কানাডা সম্পর্ক অথৈ জলে৷ খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের পিছনে ভারতের হাত থাকার অভিযোগ তুলেছিল কানাডা৷ যা নিয়ে দুদেশের সম্পর্কে চাপানউতোর অব্যাহত৷ এই পরিস্থিতিতে, কানাডার তোলা অভিযোগ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কোনও কারণ নেই৷ এমনটাই জানালেন অস্ট্রেলিয়ার গুপ্তচর সংস্থা আসিও-র (অস্ট্রেলিয়ান সিকিওরিটি ইনটেলিজেন্স অর্গানাইজেশন) কর্ণধার মাইক বার্জেস৷
কানাডার অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে অস্ট্রেলিয়ার গুপ্তচর কর্তা ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে জানিয়েছেন, ‘কানাডার তোলা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর৷ একটা দেশের চর যখন অন্য একটা দেশের নাগরিককে তার দেশে গিয়ে খুন করে আসে, তখন ব্যাপারটার নিঃসন্দেহে আলাদা মাত্রা আছে৷ ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছিলেন তা মোটেই অমূলক নয়৷ ’ ক্যালিফোর্নিয়ায় পঞ্চচক্ষু (ফাইভ আই ইনটেলিজেন্স) সম্মেলনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বার্জেস৷
উল্লেখ্য, খালিস্তানি প্রসঙ্গে দুদেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে যে, নয়াদিল্লি কানাডাকে ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়৷ ভারতের কড়া অবস্থানের পরই বৃহস্পতিবার নিজেদের ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কানাডা৷ কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, “কানাডার ২১ জন কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবার ছাড়া বাকি কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে অটোয়া৷ আমরা ভারত থেকে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এসেছি৷” তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ৪১ জন কূটনীতিকের কূটনৈতিক সুবিধা প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল সেটা শুধু নজিরবিহীন নয়, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থীও বটে৷’
কানাডায় ভারতের মোট কূটনীতিক আছেন ২১ জন৷ তুলনায় ভারতের বিভিন্ন শহরে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা ছিল ৬২৷ সম্পর্কের অবনতির পর ভারত তাদের জানিয়েছিল, দুই দেশে কূটনীতিকদের অবস্থানে সামঞ্জস্য রাখতে হবে৷ সে জন্য ৪১ জনকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ এর আগে কানাডা এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল৷ ভারতও পাল্টা কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে৷ তার পরেই সংখ্যায় সামঞ্জস্য আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
মেলানি জলি ৪১ কূটনীতিক প্রত্যাহারের কথা জানানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘ভারত একতরফাভাবে এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আমরা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাই না৷ তাই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি৷ সে জন্য মুম্বাই, চণ্ডীগড় ও বেঙ্গালুরুতে কানাডার কনসু্যলেটগুলোর স্বাভাবিক কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে৷’