• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

অনুমতি ছাড়া আর দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ করল অসম সরকার, নয়া নির্দেশিকা জারি হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্ত্রিসভার 

গুয়াহাটি, ২৭ অক্টোবর –   অসম সরকারের অনুমতি ছাড়া আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না অসমের সরকারি কর্মচারিরা। বৃহস্পতিবার এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্ত্রিসভা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে কোনও সরকারি কর্মী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে সরকারের  অনুমতি পত্র নিতে হবে। নয়তো সরকারি কর্মীদের বড় অঙ্কের

গুয়াহাটি, ২৭ অক্টোবর –   অসম সরকারের অনুমতি ছাড়া আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না অসমের সরকারি কর্মচারিরা। বৃহস্পতিবার এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্ত্রিসভা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে কোনও সরকারি কর্মী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে সরকারের  অনুমতি পত্র নিতে হবে। নয়তো সরকারি কর্মীদের বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে। শুধু তাই নয়, কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করা হবে। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘পার্সোনাল ল’-এর এক্ষেত্রে কোন গুরুত্ব নেই।  সরকারি কর্মীদের মধ্যে জারি করা নয়া নিয়ম আগামী দিনে রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দার জন্যই প্রযোজ্য করা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার অসমের সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পার্সোনাল ল’ বা নিজস্ব ধর্মীয় আইন যাই থাক না কেন, প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে অসম সরকারের অনুমতি ছাড়া আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ লুকিয়ে বিয়ে করলে, তাকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে  এমনকী সরকারি কর্মীদের সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি হলে চাকরি থেকে বরখাস্তের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
 

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আগেই উদ্যোগী হয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। হিমন্ত বিশ্বশর্মার উদ্যোগে অসম সরকার ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতি চালু করে ফেলেছে। ২০১৯ সালেই অসম সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করায়। এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর যে সমস্ত দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়। অন্যথা হলে, তাঁদেরও চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে। হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই আইন কার্যকর হয়। 

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাধিক বিয়ে রুখতেই হেমন্তর এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের একের বেশি বিয়ে রুখতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আসলে ঘুরপথে মুসলিম ‘পার্সোনাল ল’কে অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন হিমন্ত। সেই লক্ষ্যেই দুই সন্তান নীতি চালু করেছেন তিনি। এবার সরকারি কর্মীদের একাধিক বিয়ে বন্ধ করলেন। আগামী দিনে সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এই আইন চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।