– ইডির জেরার মুখে বিপর্যস্ত অনুব্রত মন্ডলের কন্যা সুকন্যা

Written by SNS April 29, 2023 3:09 pm

দিল্লি, ২৯ এপ্রিল – ইডির জেরার মুখে বিপর্যস্ত অনুব্রত মন্ডলের কন্যা সুকন্যা মন্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আদালতের নির্দেশে আপাতত ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় দিল্লির সদর দফতরে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ছেন , খাওয়া দাওয়াও করছেন না  ৷

গত বুধবার দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর  এখনও ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করে চলেছেন।  তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি সুকন্যার। এর আগেও সুকন্যা দাবি করেছিলেন, আর্থিক লেনদেন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় সব কিছুই  তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল এবং মণীশ কোঠারি জানতেন।

এর পাশাপাশি সুকন্যা বার বারই তাঁর বাবার কথা জিজ্ঞাসা করছেন ইডি কর্তাদের কাছে।  সুকন্যা তিহাড় জেলে গিয়ে তিনি তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে চান। একই সঙ্গে নিজের এক বান্ধবীর সঙ্গেও দেখা করতে চান বলে ইডি কর্তাদের জানান। প্রসঙ্গত সুুকন্যার গ্রেফতারির পরই তাঁর সঙ্গে ইডি দফতরে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর এক ক্যানসার আক্রান্ত বান্ধবী৷ ওই তরুণীর দাবি, অনুব্রত এবং সুকন্যাই তাঁর চিকিৎসার খরচ চালাতেন৷ ইডি-র পক্ষ থেকে অবশ্য সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্ত বাবা অথবা বান্ধবী- কারও সঙ্গে দেখা করানো সম্ভব নয়৷

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে আরও খবর, সুকন্যা বারবার দাবি করেছেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সুকন্যার দাবি, তাঁর অজান্তেই গরুপাচারকাণ্ডে তাঁর নামে সংস্থা বা সম্পত্তি রাখা হয়েছে। তিনি কোনকিছুর সঙ্গে জড়িত নন। বুধবার বিকেলে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেখানেই তাঁর  জেরা চলছে। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যার নামে যে বিপুল সম্পত্তি আছে তার উৎস জানার চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরু পাচারের টাকায় অনুব্রত তাঁর কন্যা সুকন্যার নামে সম্পত্তি বাড়িয়ে গেছেন। সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানা গেছে নানা সময়ে সেই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে।

এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে সুকন্যাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে, ইডি সূত্রে খবর। সুকন্যার দাবি, যাঁরা টাকা রেখেছেন, তাঁরাই এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা কখনো অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক, কখনো রাঁধুনি, অথবা গাড়ির চালক ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিয়ে  আসতেন । এখন অপেক্ষা ,বাবা ও মেয়েকে জেরা করে ইডি আধিকারিকরা এই  দুর্নীতির উৎস সন্ধান করতে পারেন কিনা ।