করোনা জট কাটিয়ে আজ বুধবার প্রকাশিত হতে চলেছে মাধ্যমিকের ফল। মঙ্গলবারই একথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একথাও জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী শুক্রবার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রসচিবের সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যেই তার ফোনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের দিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি আগাম অভিনন্দনও জানিয়ে রাখেন সফল প্রীক্ষার্থীদের। মাধ্যমিকে সবক’টি বিষয়ের পরীক্ষা লকডাউনের আগেই সম্পূর্ণ হয়েছিল। তাই আইসিএসই বা সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও মাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জুনেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল। খাতা অনেকদিন আগেই দেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশে বিলম্ব ঘটল।
Advertisement
করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন পরিস্থিতির জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের জন্য একাধিকবার সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। লকডাউন ঘোষিত হওয়ার প্রথম পর্বে উচ্চ মাধ্যমিকের বাতিল তিনটি পরীক্ষা প্রথমে জুলাই মাসে নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া যায় না।
ফলে অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতেই বাতিল হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলিকে বিবেচনা করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। শুক্রবারই এই ফল ঘোষণা হতে পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আজ সকাল সকাল দশটায় ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে মাধ্যমিকে প্রথম থেকে দশম স্থানাধিকারী সফল পরীক্ষার্থীদের নাম।
সকাল সাড়ে দশটা থেকে অনলাইনে মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানা যাবে। তবে করোনার সতর্কতা হিসেবে মাধ্যমিকের মার্কশিট এবার পরীক্ষার্থীদের স্কুলে এনে তাদের হাতে দেওয়া হবেনা। ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিন পরে অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করে অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মতো উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারলে বলে পর্ষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
এবছর ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৮৮ জন। যা গতবারের তুলনায় কম। ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন। ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবছর কড়া নিরাপত্তায় মাধ্যমিকের পরীক্ষা হয়। গত বছর হোয়াটস অ্যাপে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল। তাই ৪২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
Advertisement



