রাজ্যের উচ্চশিক্ষার নিরিখে সরকার অনুমোদিত নদীয়া জেলায় সামনের সারিতে যে ক’টি কলেজের নাম উঠে আসে তারমধ্যে অন্যতম রানাঘাট কলেজ। এই কলেজ নদীয়া জেলার দ্বিতীয় প্রাচীনতম কলেজ। ১৯৫০ সালে স্থানীয় পাল চৌধুরী বিদ্যালয় থেকে যার পথ চলা শুরু হয়। অনেক পথ অতিক্রম করে রানাঘাট কলেজ ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল। কলেজে প্রবেশ করলেই প্রথমে চোখে পড়বে বাংলার মহান মনীষীদের আবক্ষ মূর্তি। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পদধূলিতে ধন্য এই কলেজ। রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন এবং বাণিজ্য ভবন। সাথে আছে খেলার মাঠ, সুসজ্জিত প্রেক্ষাগৃহ এবং মুক্ত মঞ্চ।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রানাঘাট কলেজে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারের কাছাকাছি। সকাল ও দুপুর বিভাগে এই কলেজে স্নাতক স্তরে ২৩ টি বিষয়ে নিয়মিত পঠন পাঠন হয়। সাথে আছে বেশ কিছু বিষয়ে স্নাতকোত্তর বিষয়ের পঠন পাঠন। উন্নত মানের শ্রেণী কক্ষে একদিকে যেমন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ দান করেন। তেমনি আছে অনলাইন ডিজিটাল পঠন পাঠনের ব্যবস্থা। আছে উন্নত মানের লাইব্রেরি ও পরীক্ষাগার। বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য হয় সেমিনার। পরিবেশ বান্ধব এই কলেজে আছে ভেষজ উদ্ভিদের বাগান এবং বর্ষার জল ধরে রাখার ব্যবস্থা। শুধু লেখা পড়া নয়, খেলাধূলো – সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডেও এই কলেজের ভূমিকা প্রশংসনীয়। কলেজের বহু প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী আজ সুনামের সাথে দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ন পদে আসীন।
ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা, অধ্যক্ষ এবং কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় রানাঘাট কলেজ সম্প্রতি ন্যাকের মূল্যায়ণে ‘বি প্লাস’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চলতি বছরে নানা রকম সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহন করেছে এই কলেজ। শুধু ৭৫ বছর পালনই নয়, ভবিষ্যতে রানাঘাট কলেজ যাতে শিক্ষা ও সামাজিক ক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে তার জন্যে সকলকে পাশে থাকার আবেদন জানান কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অরূপ কুমার মাইতি।