দুর্গাপুজো শেষ। চলছে বিজয়ার পর্ব। বিজয়া সম্মিলনীতে জনসংযোগে জোর তৃণমূলের। সামনেই বিধানসভা। পুজো শেষ হতেই জনসংযোগে জোর দিল তৃণমূল। বুধবার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসংযোগ সারলেন নদিয়ার কল্যাণীর তৃণমূল নেতারা। কল্যাণীর সগুনা অঞ্চলের লিচুতলা হাই স্কুল মাঠে কল্যাণী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
এই বিজয়া সম্মিলনীতে লক্ষ্য করা গিয়েছে জনজোয়ারের। হাজির ছিলেন ব্লকের তৃণমূল কর্মী, সমর্থক থেকে নেতারা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার উচ্চ পর্যায়ের নেতারাও। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মী,সমর্থকদের বুঝিয়ে দেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কতটা গুরুত্বপুর্ণ। নেতাদের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের এসআইআর, মতুয়াদের গুরুত্ব, পরিযায়ী শ্রমিক, বাংলা ও বাঙালিদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এমনকি বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার হুঙ্কার পর্যন্ত দিয়েছেন নেতারা।
Advertisement
এই মুহূর্তে তৃণমূলের মাথাব্যথার প্রধান কারণ এসআইআর। যদিও ভোটার তালিকা থেকে কারোর নাম বাদ যাবে না বলে আশ্বস্ত করছে তৃণমূল। এদিনও বিজয়া সম্মিলনীতে এসআইআর নিয়ে কর্মী, সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন তৃণমূলের তাবড় নেতারা।
Advertisement
২০১১ সালে ৯০ শতাংশেরও বেশি মতুয়া আসন গিয়েছিল তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের ঝুলিতে। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই মতুয়া ভোট ধীরে ধীরে সরেছে বিজেপির দিকে। তার ‘ছায়া’ পড়েছে অন্যান্য তফসিলি এলাকাতেও। এই ‘প্রবণতা’ যে বিপজ্জনক, তা বিলক্ষণ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রবণতা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য মমতা যে সক্রিয়, তার খবর রাখে বিজেপি। ফলে বঙ্গের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায় রাজ্যের মতুয়া ‘ভোটব্যাঙ্ক’ ঘিরে। এদিনও বিজয়া সম্মিলনী থেকে মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূলের নেতারা। বিজয়ার অনুষ্ঠানে বিশাল সমাগমে জনসংযোগ কতটা সফল হল তা বোঝা যাবে বিধানসভা নির্বাচনে। তবে জনসংযোগ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল।
এদিনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ জেলার জেলা সভাপতি দেবাশিস গাঙ্গুলি, কল্যাণী ব্লক সভাপতি পঙ্কজ সিং, রানাঘাটের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, নদিয়া জেলার জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু-সহ অন্যান্য নেতারা।
Advertisement



