সম্পাদকীয়

সংস্কারপন্থী ডাক্তার মাসুদ কি পারবেন ইরানের ধর্মান্ধতা রোগ দূর করতে

ড. কুমারেশ চক্রবর্তী ইরানের বিশাল প্রশস্ত ঝাঁ চকচকে হাইওয়ে। সেখানে একটি গাড়ি ছুটে চলেছে। গাড়ির ভেতর আনন্দময় একটি পরিবার। গাড়ির মধ্যে চলেছে মজার মজার ইরানি ও ইংরাজি গান, মাঝেমধ্যে চলছে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার গান। সকলেই খুব মজায় এবং আনন্দে আছেন। হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে অন্য একটি গাড়ির অসতর্কতায় ঘটে গেল এক ভিষন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে… ...

নিঃশব্দে অব্যাহত: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ও প্রকৃতি-উন্নয়ন সংঘাত

শোভনলাল চক্রবর্তী বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাসায়নিক নাইট্রোজেন সারের বিকাশ কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করে। যা খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যার খাবারের জোগান দেয়। তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কৃষি জমিতে যতখানি নাইট্রোজেন সার দেওয়া হয়, তার অধিকাংশই বায়ুমণ্ডলে মিশে যায় নাইট্রাস অক্সাইড হিসেবে। একবার নিঃসৃত হলে এই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে মানুষের গড় জীবদ্দশার… ...

রাধারাণীরা কি বনফুলের মালা নিয়ে আজও হাজির হয় রথের মেলায়?

বিদ্যুৎ রাজগুরু ‘রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,/ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম। / /পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি,/ মূর্তি ভাবে আমি দেব—হাসে অন্তর্যামী।” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পঙক্তিগুলো আমাদের পরিচিত। রথযাত্রা উপলক্ষে ভক্তবৃন্দ এমনভাবে নিমগ্ন থাকে, জীবনের পরম সত্যটি তারা ভুলে যায়। আড়ম্বর সর্বস্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষই বড়ো হয়ে যায়। সুসজ্জিত পথ, রথ… ...

যুদ্ধের সেরা জীবনযুদ্ধ চলে অবিরত,অবারিত, আজীবন !

স্বপনকুমার মণ্ডল যুদ্ধভীতি যোদ্ধারও থাকে, বীরের মনেও উঁকি দেয় । সেখানে যুদ্ধকে ধর্মের বর্ম পরিয়ে ধর্মযুদ্ধের কথা বলা হলেও তার ধ্বংসাত্মক হত্যালীলা কখনও মানুষকে প্রাণিত করেনি বা করে না । স্বাধীনতা-যুদ্ধের পরে জয়ীর আনন্দ-উল্লাসের মধ্যেও পরাজিতের গ্লানিবোধেও করুণার উদ্রেক করে, শোকতাপ,বিচ্ছেদবেদনার বিষণ্ণতাবোধ জেগে ওঠে । সেখানে যুদ্ধ মানেই হত্যালীলা, ধ্বংসের নিবিড় আয়োজন । প্রাণসংশয় থেকে… ...

“হোয়াট ডু দে নো অফ ক্রিকেট হু ওনলি ক্রিকেট নো” 

শোভনলাল চক্রবর্তী  সি এল আর জেমস তাঁর ক্রিকেট নিয়ে লেখা বিখ্যাত বই “বিয়ন্ড এ বাউন্ডারি”তে লিখেছিলেন শিরোনামের লাইনটি। ক্রিকেট নিয়ে এমন দার্শনিক লাইনের দ্বিতীয় কোনও নজির নেই। ক্রিকেট সময়ের মতই,থামে না, শুধুই এগোয়। স্যার গ্যারি সোবার্স এর দ্বীপ বার্বাডোজ বহু ক্রিকেটীয় ইতিহাসের সাক্ষী। সেই ক্রিকেটীয় ঐতিহ্যে যোগ হল ভারতের বিশ্বকাপ জয়। নেহাত মামুলি জয় নয়,একবারে… ...

ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট :লাভ বাংলাদেশেরও

প্রবীর মজুমদার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে ভারতকে ‘রেল ট্রানজিট ও করিডর’ দেওয়া এবং ‘তিস্তা পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পে ভারতের যুক্ত হওয়ার সমঝোতার ঘোষণা আসার পর দিনদশেক পেরিয়ে গেছে।ইতিমধ্যে এই বিষয়গুলোতে বাংলাদেশে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে, বিরোধী দল বিএনপিও সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের অনেক মানুষের এ বিষয়ে নেতিবাচক পোস্ট দেখছি। তাই… ...

স্বামী বিবেকানন্দের বাস্তববাদী উদারতায় সকলেই তাঁকে আপন ভাবে, বিতর্কও হয় !

স্বপনকুমার মণ্ডল ফুটবলের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। রাজার খেলা ক্রিকেট হলেও খেলার রাজা ফুটবল । সারা পৃথিবী জুড়ে তার বিস্তার, মননবিশ্বেও তার নিবিড় হাতছানি । ফুটবলের গোল জনজীবনের লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে। সেখানে বাঙালির সেরা খেলা ফুটবলের জুড়ি মেলা ভার । জাতীয় খেলা না হলেও জাতের খেলায় তার বিপুল জনপ্রিয়তা এখনও সচল, সজীব… ...

বুদ্ধদেব গুহ পরের জন্মে বাঘ হতে চেয়েছিলেন !

স্বপনকুমার মণ্ডল বছর তেরো আগের কথা। দার্জিলিং গভর্নমেন্ট কলেজ ছেড়ে তখন হুগলি মহসিন কলেজে পড়াই । অধ্যাপনায় পদোন্নতির জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফ্রেসার্স কোর্সে (২০১১,নভেম্বর-ডিসেম্বর) জয়েন করি। সেখানেই অন্য অনেক কৃতী বাঙালির মতো একটি ক্লাসে কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ’র (১৯৩৬-২০২১) সঙ্গে সামনা-সামনি হওয়ার সুযোগ মেলে। ইতিপূর্বে তাঁর পরিচয় নানাভাবে যেটুকু পেয়েছিলাম,তাতে তাঁর প্রতি বাড়তি কোনও আগ্রহ ছিল… ...

‘ছেলেধরা’ গুজবে বাংলায় গণপিটুনির হিড়িকের মধ্যে ডাইনি প্রথার নৃশংসতাকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে !

স্বপনকুমার মণ্ডল রাজ্যের নানা জায়গায় যেভাবে ‘ছেলেধরা’ তথা ‘শিশু চুরি’র নামে ভয়ঙ্কর গণপিটুনির ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে, তার পাশবিক নৃশংসতা একদা আদিবাসী সমাজের প্রাণঘাতী কুসংস্কারকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। আপাতভাবে তা ‘ছেলেধরা’ বা ‘শিশু চুরি’র বিষয় হলেও যেভাবে তা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে, তা শুধু আশঙ্কার কারণ মনে হয় না, তার ভয়াবহ পরিণতির কথা ভাবলে আতঙ্কে গা… ...

মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুশো বছরেও জাতীয় পতাকায় ‘শ্রীমধুসূদন’ আজও সমুজ্জ্বল!

স্বপনকুমার মণ্ডল মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-১৮৭৩) মৃত্যুর পর ‘বঙ্গদর্শন’ (ভাদ্র ১২৮০) পত্রিকায় কবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সুপবন বইতে দেখে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দিয়ে তাতে লিখতে বলেছেন ‘শ্রীমধুসূদন’। উনিশ শতকের বাংলা নবজাগরণের প্রভাবে প্রস্ফুটিত বাংলা সাহিত্যের পরিচয়ে সাহিত্য সম্রাট সেদিন যথার্থই উপলব্ধি করেছিলেন। বাংলা সাহিত্য যে ইতিপূর্বে উৎকর্ষমুখর বনেদিয়ানা লাভ করেছে, বঙ্কিমচন্দ্রের মনে তা নিয়ে… ...