• facebook
  • twitter
Tuesday, 19 August, 2025

বিষন্নতায় বিপন্ন আধুনিক প্রজন্ম

সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা উঠেছিল তার বিষয় ছিল—১৮ বছর বয়স অব্দি কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবে না। শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চায়নি।

প্রতীকী চিত্র

সুনীত রায়

চারদিকটা তাকিয়ে চুপ করে দেখি আর ভাবি—আমরা কত যেন বদলে গেছি। বাসে,ট্রেনে, প্লেনে সহযাত্রীরা কেউ কারো সঙ্গে কথাও বলে না আর কথা বলতে আগ্রহীও নয়। কারণ সবার সঙ্গে আছে মুঠোফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাব। তাই অযাচিতভাবে কেউ কারোর সঙ্গে আলাপও করে না আর গল্পও করতে চায় না। আজ থেকে তিরিশ বছর আগে যখন মোবাইল ফোন ছিল না, তখন মানুষের ধৈর্য, সহনশীলতা মনে হয় খুব কম ছিল। ট্রেন, প্লেন বা বাস আস্তে কিংবা ছাড়তে যদি দেরি হত,মানুষ তখন খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ত। আজকাল আর সেই উত্তেজনা দেখতে পাই না। অপেক্ষমান সময়টা আগে খুব দীর্ঘ মনে হত, এখন আর হয় না। কারণ আমরা সবাই মোবাইলফোনের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপসের মধ্যে এতই জড়িত যে মনের উত্তেজনা প্রকাশ করার কোন অবকাশই পাই না।

২০২২ সালে সারা বিশ্বে সবচেয়ে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক দ্রব্য গুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে স্মার্টফোন। কথাবার্তা আদান-প্রদানের জন্য আবিষ্কৃত হয় টেলিফোন। তারপর টেলিফোনের তার হারিয়ে গিয়ে এল মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের আধুনিক সংস্করণ হল স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে কথা বলা ছাড়া আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউসিং, সোশ্যাল মিডিয়া,মাল্টিমিডিয়া, সিনেমা ক্যামেরা, ঘড়ি, জি পি এস নেভিগেশান ইত্যাদি আরো অনেক রকমের সুযোগ সুবিধা আজ আমাদের মুঠোর মধ্যে। সারা বিশ্বে ২০২৪ সালে স্মার্টফোনের সংখ্যাটি হল ৭২০ কোটি। ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি ৮০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। আজ ভারতবর্ষের লোকসংখ্যার ৭৭ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। ২০৪০ সালে ভারতে স্মার্টফোন উপভোক্তা সংখ্যাটি দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি। ভারতবর্ষে স্মার্টফোন নিয়ে ৬মাস থেকে ৪ বছরের শিশুরাও নাড়াচাড়া করে। তাদের সংখ্যাও কম নয়, প্রায় ১০ কোটি।

স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কে কতক্ষণ সময় ব্যয় করে তার ওপরে একটা সমীক্ষা করা হয়। ৮-১২ বছরের বাচ্চারা স্মার্টফোন নিয়ে সারা দিনে ব্যস্ত থাকে ৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট। ১৩-১৮ বছরের ছেলে মেয়েদের মধ্যে মেয়েরা ব্যবহার করে ৭ ঘন্টা ৩২ মিনিট আর ছেলেরা ব্যবহার করে ৭ ঘন্টা ৭মিনিট। ২৫-৩৪ বছরের ছেলে মেয়েদের মধ্যে মেয়েরা ব্যবহার করে ৭ ঘন্টা ৩ মিনিট আর ছেলেরা দেখে ৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট। ৩৫-৪৪ বছরের মধ্যবয়স্কদের ক্ষেত্রে মেয়েরা দেখে ৬ ঘন্টা ২৫ মিনিট আর ছেলেরা দেখে ৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট। ৪৪-৬৪ বছরের মানুষদের ক্ষেত্রে মেয়েরা দেখে ৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আর ছেলেরা দেখে ৫ ঘন্টা ১৪ মিনিট। বিভিন্ন বয়সের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটা শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। ১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তাদের বলা হয় “বেবি বুমার “। ১৯৬১-১৯৮০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তারা হল “জেনারেশন এক্স”। ১৯৮১-১৯৯৬ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তাদের বলা হয় “মিল্লেনিয়ালস “। ১৯৯৭-২০১২ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তারা হল “জেনারেশন জেড “।

পরিসংখ্যান থেকে একটা জিনিস খুব স্পষ্ট যে আমরা সারাদিনে এক চতুর্থাংশ সময় স্মার্টফোনের জন্য ব্যয় করি। সৃষ্টিশীল কাজকর্মের যেমন ব্যাঘাত ঘটছে ঠিক তেমন শারীরিকভাবে বিভিন্ন রকমের নতুন উপসর্গমূলক রোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অল্প বয়সে স্মার্টফোনের পর্দার সামনে বহুক্ষণ বসে থাকার জন্য মনোসংযোগ কমে যাচ্ছে। জার্নাল অফ ডেভেলপমেন্টাল এন্ড বিয়েভিওরাল পেডিয়াট্রিকস পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে ৭০ শতাংশ অভিভাবক বাচ্চাদের শান্ত করতে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেন। ৪৫ শতাংশ শিশু যাদের বয়স দুই বছরের কম তারাও স্মার্টফোনটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। খাওয়ানোর সময় বাচ্চাদের শান্ত করার জন্য ২৫ শতাংশ অভিভাবক স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেন। ২-৫ বছর বয়সী পাঁচটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু দিনে ২’ঘণ্টার বেশি সময় ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

অত্যধিক স্মার্টফোনের ব্যবহার করার ফলে বাচ্চারা কথা বলতে শুরু করছে অনেক দেরিতে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে,খিটখিটে আর বদমেজাজি হয়ে যাচ্ছে। নিজের ভাষা ব্যবহারের উপর সংযত ভাব হারিয়ে ফেলছে। এক জায়গায় বসে থাকার জন্য শরীর ভারী হয়ে যাচ্ছে, চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি খুব তাড়াতাড়ি ক্ষীণ হয়ে আসছে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস পত্রিকায় বলা হয়েছে ১৮ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের স্মার্ট ফোনের সামনে বসিয়ে ভিডিও চ্যাটিং করাও উচিত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভিডিও চ্যাটিং তো দূরের কথা, আশেপাশে থাকতেও বারণ করছেন।

অনেকক্ষণ ধরে স্মার্টফোনটি হাতে ধরে ব্যবহার করার জন্য হাতের চেটো ফুলে যাচ্ছে, বুড়ো আঙ্গুল আর কব্জির মধ্যে অসহ্য ব্যথা হচ্ছে। টেন্ডন আর লিগামেন্টের মধ্যে বহুক্ষণ ধরে অত্যধিক চাপের ফলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এটিকে বলা হয় “টেক্সটার’স থাম্ব “বা ” গেমারস থাম্ব “। অনেকক্ষণ স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য ঘাড় শক্ত হয়ে ব্যাথা হচ্ছে – এটিকে বলা হয় “টেক নেক “। অনেক সময় হাতের কনুই এর মধ্যে আলনার শিরা উপশিরাগুলি চেপে যাওয়ার জন্য – কনুই থেকে হাতের চেটো পর্যন্ত অবশ হয়ে যাচ্ছে আর প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হচ্ছে এটিকে বলা হয় “সেলফোন এলবো “।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে স্মার্টফোনের প্রতি এই প্রচন্ড আসক্তির কারণটা কি? বর্তমান অনুকেন্দ্রিক জীবনে প্রকৃত অর্থে আমরা সবাই আত্মীয়-স্বজন ছাড়া,বন্ধু-বান্ধবহীন একটা দ্বীপের মধ্যে বাস করছি। কিন্তু সবাইকে দেখাতে চাই আমার সুখ শান্তি, প্রতিপত্তি আর ঈশ্বরের কি অনবদ্য রূপ সৌন্দর্য দিয়ে আমাকে তৈরি করেছেন। আমার ঘোরা- বেড়ানো, ভালোলাগা,মন্দলাগা সবই সবার মাঝে ভাগ করে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পেতে চাই। একমাত্র স্মার্টফোনের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এটা সম্ভব নয়। তাই সেখানে পোস্ট করে বসে থাকি সেই অপেক্ষায় কখন পাবো বুড়ো আঙ্গুলের স্টিকার এর মাধ্যমে কারুর ভালোলাগার স্বীকৃতি আর প্রশংসা। কতজনের ভালো লাগলো, কতজন ভালো বলে মতামত দিল, কতজন খুলে দেখলো কিন্তু কোন মন্তব্য করল না- এগুলির মধ্যেই লুকিয়ে আছে আনন্দ আর বিষন্নতা। যদিও জানি এসবগুলোর সঙ্গে বাস্তব জীবনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তবুও এগুলি এখন আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও একা থেকে যে জীবনটাকে উপভোগ করা যায় তা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে স্মার্টফোনের সোশ্যাল মিডিয়া। এই মুহূর্তে স্মার্টফোন ছাড়া একটা মুহূর্ত আমরা ভাবতে পারিনা। তাই আমাদের সবসময় ভয় হয় এটা কোনভাবেই যেন হারিয়ে না যায়। এই অদ্ভুত অনুভূতি যার নাম হল নোমোফোবিয়া অর্থাৎ নো মোবাইল ফোবিয়া।

একটা শিশু তখনই সুস্থ আর সবল হবে যখন তাদের মস্তিষ্কের ইমিউন সিস্টেমের পরিকাঠামোটা শক্ত আর মজবুত হবে। ১-১০ মাসের শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ খুব তাড়াতাড়ি হয়। তখনই মূল পরিকাঠামো তৈরি হতে শুরু হয়। ১০ মাস থেকে ২ বছর শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশের সঙ্গে নতুন নিউরোন আর সাইন্যাপস তৈরি হতে শুরু হয়। ২-৬ বছরের শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের গতি খানিকটা শ্লথ হয়ে যায় কিন্তু নিউরোন আর সাইন্যাপসের মধ্যে যোগাযোগ ক্রমশ মজবুত হয়ে ওঠে। ৬-৮ বছরের শিশুর মস্তিষ্কে দুর্বল আর অব্যবহৃত নিউরোনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৮-২৫ বছরে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স ধীরে ধীরে তৈরি হওয়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ কার্যপ্রণালীটা যত সহজে বর্ণনা করা হল, বাস্তবে ব্যাপারটা খুবই জটিল। ৭-৮ বছরের শিশুদের মস্তিষ্কের মধ্যে নিউরোন আর সাইন্যাপসের জটিল জালের আবর্তন ক্রমাগত চলতে থাকে। প্রয়োজনে কখনও ভেঙে যায় আবার কখনও নতুন করে জুড়েও যায়। আর এই নিপুন ভাঙ্গা গড়ার সময় যদি ঘন্টার পর ঘন্টা স্মার্টফোনের সঙ্গে সময় কাটানো হয় তখন ঘটনাটি খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কারণ স্মার্টফোন থেকে বিকরিত বেতার তরঙ্গ থেকে যে তড়িৎচুম্ব্কীয় আবেশ সৃষ্টি হয় তা শিশুর মস্তিষ্কের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে গবেষণার সঠিক ফল এখনও জানা যায়নি, তবে কিছু গবেষণায় উদ্বেগজনক ফলাফল দেখা গেছে। এডোলোসেন্ট ব্রেন কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট – তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, অত্যধিক স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধির ফলে মস্তিষ্কের বিকাশের পক্ষে ক্ষতিকারক শুধু তাই নয় বরং এটি শিশুর মনোবিজ্ঞান, চিন্তাভাবনা, ঘুমের চক্র আর ব্যক্তিগত আচরণকেও প্রভাবিত করে। এর ফলে মনোযোগের সময়কাল হ্রাস আর নিজের অজান্তে হিংসাত্মক বা আক্রমনাত্মক আচরণ করে ফেলে।

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ সাইকোলজিকাল মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে – স্মার্টফোনের উপর অত্যধিক আসক্তি কমানোর জন্য যখন বাড়ির অভিভাবকেরা তাদের ফোনটি কেড়ে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন, তখন তারা এক অদ্ভুত অবসাদে ভেঙে পড়েন। স্মার্ট ফোনটি হাতে না পাওয়ার জন্য কুড়ি কোটি মানুষ তাদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে মৃত্যুর আগে চিঠিতে লিখে গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন প্রকার মানসিক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রায় ১৫ কোটি মানুষ আত্মহত্যা করবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছিলেন। ২০২০ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী ১২৪৫জন ছেলেমেয়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার জন্য আত্মহত্যা করেছে। আর অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল অত্যধিক স্মার্টফোনে আসক্তি। স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে মুক্তি পাবার জন্য ২৮৫১ জন আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করে

স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের গেমসের যেসমস্ত অ্যাপস আছে তারমধ্যে কিশোর আর যুব মানসিকতায় মোটরবাইক প্রতিযোগিতা অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও প্রিয়। অনেকে এই প্রচন্ড গতি বাস্তবক্ষেত্রে যখন তাদের মোটর বাইকের মাধ্যমে প্রতিফলিত করতে চায় তখনই ঘটে সব ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ভারত সরকারের রোড ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়েজের মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১সালে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল ৪, ১২, ৪৩২। তার মধ্যে মোটরবাইকের দুর্ঘটনার সংখ্যাটি হল ১, ৩৭, ৯৮২ আর তার মধ্যে মৃতের পরিমাণ হল ৪২, ৮৮৪। ২০২২ সালে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬, ৪০০। এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পেছনে স্মার্টফোন যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা উঠেছিল তার বিষয় ছিল—১৮ বছর বয়স অব্দি কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবে না। শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করার জন্য মামলাকারীদের সংসদে আবেদন করার পরামর্শ দেন।

আধুনিক সমাজ জীবনে সবকিছু থেকেও যেন কিছু না থাকার কথা বারবার মনে হয়। অজান্তে প্রবেশ করেছে নিঃসঙ্গতা, উদ্বেগ আর বিষন্নতা। ওপর থেকে সবকিছু ঝাঁ চকচকে অত্যন্ত সুন্দর—ভেতরটা কেমন জানি ফাঁকা অন্তঃসারশূন্য। মনে মনে ভাবি আছে স্পন্দন, কিন্তু স্পন্দিতের নেই কোন আভাস।