• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সঠিক পরিচালনা করতে পারেন মমতাই

নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনও চেয়েছেন মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি খুশি হবেন। কারণ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। এ পথে যে অনেক বাধা।

ফাইল চিত্র

নারায়ণ দাস

বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধান মুখ হন, তাহলে বাধা কোথায়? জেটের যে ২৬টি দল রয়েছে, ছোট-বড় মিলে, তাদের সিংহভাগ নেতা চান মমতাই জোটের প্রধানমুখ হওয়ার যোগ্য। কারণ ভারতবর্ষের মতো বড় রাষ্ট্রর যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রশাসন সঠিকভাবে চালানোর মতো ক্ষমতা থাকা বিশেষ প্রয়োজন। মমতা এইসব গুণের অধিকারী। বিরোধী জোটের যদি দিল্লির মসনদে বসার মতো সুযোগ আসে, ভবিষ্যতে তাহলে জোটের প্রধান মুখই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার হতে পারে। যদিও এখন এই প্রশ্ন তোলার সময় আসেনি। কারণ এনডিএ, যেখানে বিজেপিই প্রধান দল, দিল্লির মসনদ দখল করে আছে। আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বারের জন্য। যেহেতু বিজেপি এককভাবে কেন্দ্রের সরকার গঠন করতে পারেনি, তাকে নির্ভর করতে হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের সমর্থনের ওপর। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি এমন হয় এই দুই দলের সমর্থন এনডিএ হারায়, তখন বিজেপির এই সরকার পড়ে যেতে পারে। কারণ বিজেপি এককভাবে সরকারকে পতনের মুখ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। বিকল্প হিসাবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কাছে একটি সুযোগ আসতে পারে কেন্দ্রে সরকার গঠনের। তখন জোটের প্রধান মুখ, যিনি থাকবেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার একটা সুযোগ মিলতে পারে। যদি বিরোধী গোষ্ঠীর মুখ মমতা হন, তাহলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা উঠবে।

Advertisement

এসবই ভবিষ্যতের কথা— কারণ রাজনীতি কোন পথে চলে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি তাঁর সমর্থনকারী বাইরের দলকে ধরে রাখতে পারে, তাহলে এই সরকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে পর্যন্ত এনডিএ’ই ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না। কারণ কোথাকার জল কোথায় গড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, তা নিয়ে কিছু বলা যায় না। সবই নির্ভর করছে নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর ওপর। যদিও এই দু’জনকে প্রথম থেকেই খুশি রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের এবারের বাজেটে বিপুল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিহার ও অন্ধ্রের উন্নয়নের জন্য— সে তুলনায় অন্যান্য অঙ্গ রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ টাকা নগণ্য। ভবিষ্যতে যদি এই দুই নেতা কোনও বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ তোলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই তা মেটানার সব চেষ্টাই করবেন। অর্থাৎ অটলবিহারী বাজপেয়ী যেভাবে ছয়টি শরিক দল নিয়ে পাঁচ বছর দিল্লির মসনদে বসে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন, তাকে অনুসরণ করে চলতে পরেন মোদী। যাতে কোনও ভাবেই সরকারের পতন না ঘটে। তবে বিরোধী জোটের সামনে কেন্দ্রীয় সরকার গটনের সুযোগ যে আসবে না, তা নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না।

Advertisement

‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা প্রথম থেকেই বলে আসছেন কেন্দ্রের এবারের এই বিজেপি সরকার তার মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা অবশ্য নীতিশ কুমারের মতিগতি ভালোভাবেই জানেন। তিনি ডিগবাজি খেতে ওস্তাদ। একবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা পোষণ করেছিলেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি এনডিএ’তে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘আমি আর কোথাও যাব না।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই কথা শুনে হেসেছিলেন। তবে বিরোধী জোটের নেতারা সর্বদাই সুযোগ খুঁজবেন যাতে বিশেষ কোনও পরিস্থিতিতে নীতিশ কুমারকে জোটে যোগ দিতে । হয়তো এমনও হতে পারে তখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার টোপ দেওয়া।

তৃণমূল কংগ্রেস জোটে থেকে সবসময়ই চাইবে তাদের নেত্রী মমতাকে জোটের প্রধান মুখ করা। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রধান কাঁটা কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেস একটি সর্বভারতীয় দল। তার প্রাধান্য কমবেশি সব রাজ্যেই। কংগ্রেস চাইবে রাহুল গান্ধিকে জোটের প্রধান মুখ করা, কারণ রাহুল রাজনীতিতে কিছু অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন। ভারত জোড়ো আন্দোলনে তিনি দেশের মানুষের শুভেচ্ছা ও সমর্থন আদায় করেছেন। লোকসভায় বিরোধী নেতা হিসেবে তাঁর দলের সাংসদ এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সুতরাং কংগ্রেস বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে চাইবে রাহুল গান্ধিই জোটের প্রধান মুখ হন। কংগ্রেস এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯ আসন দখল করেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ এলে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে রাহুল গান্ধির থেকে অনেক এগিয়ে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যথেষ্ট সুনামের অধিকারী। বাম শাসনের পর, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছেন। তার অনেক জনহিতকর প্রকল্পে রাজ্যের মানুষ উপকৃত। ফলে তাঁরা মমতার পাশে। তাছাড়া তৃণমূল দল হিসেবে, অন্যান্য রাজ্যে সেভবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও পশ্চিমবঙ্গে এই দলের সাংগঠনিক শক্তি অন্যান্য দলের তুলনায় অনেক বেশি। দলে বাম জমানার পর পশ্চিমবঙ্গে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট প্রাপ্তির দিক থেকে সবার ওপরে। সে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচনই হোক। সম্প্রতি ছয়টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সবগুলি আসন দখল করেছে। আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম নির্বাচন। অনেকেই ভেবেছিল আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যেভাবে উত্তাল হয়েছিল সারা বাংলা ন্যায় বিচার চেয়ে, তার প্রভাব উপনির্বাচনে পড়বে। কিন্তু দেখা গেল ছয়টি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।

এদিকে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর, জোটে এই দলের প্রাধান্য বিস্তার করার চেষ্টা অব্যাহত। বিরোধী দলনেতা বর্ষীয়ান লালুপ্রসাদ যাদব জোটের মুখ হিসেবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরেছেন। এতে অনেকেই খুশি হয়েছেন— এই আরজেডি নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মমতা ‘ইন্ডিয়া’র মুখ হলে, তিনি বিরোধী নেতাদের মধ্যে যাতে সমন্বয় এবং ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে, তার জন্য চেষ্টা করতে পারবেন। তাঁর দক্ষতা প্রশংসা করেছেন এই নেতা। লালু প্রসাদের আগে এনসিপি, এসপি নেতারা মমতার হয়ে ব্যাট করেছেন। আরজেডি নেতা বলেছেন, তাঁরা মমতা যাতে জোটের মুখ হন, তার জন্য চেষ্টা করে যাবেন। তিনিই যোগ্য ব্যক্তি জোটের মুখ হওয়ার।

কংগ্রেসের এতে আপত্তি করার কিছু নেই। সেই সঙ্গে লালুপ্রসাদের দৃঢ় প্রত্যয় তাঁর দল ২০২৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। রাজনৈতিক মহল মনে করে কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধির জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র মুখ করা নিয়ে লালুর প্রস্তাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে লালু এবং রাহুলের ভালো সম্পর্ক ছিল। নিজের হাতে তাঁকে ‘মাটন’ খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল। লালুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট করার প্রস্তাব সম্বন্ধে কংগ্রেস মনে করে ২০২৫ বিহারের নির্বাচনে টিকিট বণ্টন সহ অন্যান্য নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় তিনি নিজের হাতে রাখতে চান। তাই কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে লালুর মমতা বন্দনা। বিরোধী জোটের প্রায় সব নেতাই মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের প্রধান মুখ হলে, তিনি সঠিকভাবে জোটের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তাঁদের সবারই এক কথা কংগ্রেস মমতাকে জোটের মুখ হিসেবে মেনে নেবে কিনা। তবে এটাও কংগ্রেসের বোঝা উচিত জোটকে শক্তিশালী করে তুলতে মমতা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বিরোধী নেতাদের এক মঞ্চে এনে তাঁদের বুঝিয়েছিলেন, বিজেপির আধিপত্য খর্ব করতে হলে তাঁদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি যদি থাকেও, তা মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী নেতাদের মধ্যে সেই ঐক্য দেখা যায়নি। মমতার মতে, জোট যদি কোনওদিন এমন অবস্থায় আসে যে সরকার গঠন করতে পারে, তখন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ভাবার সময় এখন নয়। এখন এনডিএ দিল্লির মসনদে থাকলেও, বিরোধী জোটের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের ভুলত্রুটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

আঞ্চলিক দলগুলি যাতে শক্তিশালী হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারে, তার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে বলে তৃণমূল নেত্রী মনে করেন। জোট ক্ষময়া এলে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকরাও চান, বাঙালিদের মধ্যে তিনিই প্রধানমন্ত্রীর পদে বসুন। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই পদে বসার যোগ্যতম ব্যক্তি। কারণ তাঁর দক্ষতা রয়েছে। তিনি সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন। একজন বাঙালি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন— তিনি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে কোনও বাঙালি বসতে পারেননি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, মমতা যদি প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন, তিনি খুশি হবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছিল জ্যোতি বসুর। কিন্তু তাঁর দলের শীর্ষ কিছু নেতার আপত্তির ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। সুতরাং যে সুযোগ এসেছিল, তা হাতছাড়া হয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর কথা ও আলোচনা হয়েছে সিপিএম নেতাদের মধ্যে। কিন্তু যে নেতারা বাদ সেধেছিলেন, তাঁরা পরে তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন বলে মনে হয়।

নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনও চেয়েছেন মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি খুশি হবেন। কারণ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। এ পথে যে অনেক বাধা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আরজেডি প্রধান এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও। যদিও তিনি এখন রাজনীতিতে সেভাবে নেই। বিরোধী জোট যখন গঠন করা হল, তখন এই জোটের নামকরণ ‘ইন্ডিয়া’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করেছিলেন। তখন থেকেই জোটের নেতাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যায় জোটের প্রধান মুখ কে হবেন, জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন ইত্যাদি। তখন মমতা সহ জোটের কোনও কোনও শীর্ষ নেতা বলেছিলেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা ভাবার সময় এখন নয়। যখন সুযোগ আসবে, তখন এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তবে যে যাই বলুক না কেন, বিজেপি এখনও বড় দল এবং দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপির হাতে শাসনভার। সুতরাং এই দলের সঙ্গে লড়তে হলে বিরোধী জোটকে আরও অনেক শক্তিধর হতে হবে। কংগ্রেসও অন্যতম সর্বভারতীয় দল। কিন্তু কংগ্রেস যে কোনও কারণেই হোক বিজেপির সঙ্গে সেভাবে লড়তে পারছে না। কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যেও মতভেদ রয়েছে। দলকে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার নেতার অভাব। রাহুল গান্ধির অভিজ্ঞতা কম অন্যদের তুলনায়। কিন্তু ইতিমধ্যেই তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সোনিয়া গান্ধি শারীরিক দিক থেকে সুস্থ নন। সুতরাং তাঁর পক্ষে দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করা কঠিন। সুতরাং এর পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা এক হয়ে যে জোট গঠন করেছে, তা যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে বিজেপির সঙ্গে ভালোভাবে লড়তে সক্ষম হবে। রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এখন কংগ্রেসকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

Advertisement