সুনীত রায়
আমেরিকার লস এঞ্জেলস কাউন্টির বুকে প্যাসিফিক প্যালিসেড পর্বত শ্রেণী। সারা পাহাড়টায় ঘন পাইন, সিডার আর রেড উড ট্রির ঘন অনিয়মিত সারি, মাঝখান দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার সুদৃশ্য পাকা রাস্তা। দশ মাইল লম্বা আর তিন মাইল চওড়া পাহাড়টির উত্তরে সান্তা মনিকা পাহাড় আর দক্ষিণে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। পাহাড়ের বুকের খাঁজে খাঁজে অরণ্যের আঙিনায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের বিখ্যাত মানুষদের বিশাল এলাকা জুড়ে বাংলো বাড়ি। এদের আনুমানিক মূল্য দশ মিলিয়ন ডলার থেকে পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার। ৭ই জানুয়ারি ২০২৫ নতুন বছরের শুরুতেই প্রকৃতি হঠাৎ কেমন ক্ষেপে উঠল- পাহাড়ের বনের মধ্যে জ্বলে উঠল দাবানলের বহ্নিশিখা। লেলিহান শিখায় পুড়ে যেতে লাগল একরের পর একর বনাঞ্চল আর বিশাল মূল্যবান সব বাংলো বাড়ি। বিভিন্ন পাহাড়ের বিভিন্ন দাবানলের জন্য রয়েছে তাদের নির্দিষ্ট নাম। প্যালিসেড,অলিভিয়া, ইটন, সানসেট, সালছ, সানসোয়েট্রা দাবানলে আক্রান্ত হয়েছে লস এঞ্জেলস,ভেঞ্চুরা,হলিডে হিলস, সিলমার আর সান্তা ক্লারিটা। এই দৃশ্য সত্যিই খুব বিরল যে বাড়ি গাড়ি সবকিছু ফেলে রেখে ধনকুবেররা প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এইরকম ভয়ংকর দাবানল সৃষ্টির পেছনে কারণটা কি? দাবানল সৃষ্টির কারণ নিয়ে আলোচনা করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক চিত্রপটটি সম্বন্ধে একটু জানা দরকার। ৫০ টি রাজ্য নিয়ে তৈরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আবার প্রতিটি রাজ্য অনেকগুলি কাউন্টিতে বিভক্ত। ক্যালিফোর্নিয়া হলো একটা রাজ্য। যার উত্তরভাগে রয়েছে ৪১ টি কাউন্টি মধ্যভাগে রয়েছে ৮টি কাউন্টি আর দক্ষিণ ভাগে রয়েছে ৯টি কাউন্টি।ক্যালিফোর্নিয়ার উল্লেখযোগ্য কাউন্টিগুলির মধ্যে সান ফ্রান্সিসকো হল উত্তরভাগে আর দক্ষিণভাগে লস এঞ্জেলস।
১৭৫৯ সালে স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা ইউরোপ থেকে এসে ক্যালিফোর্নিয়া আবিষ্কার করেন। পাহাড়, বন -জঙ্গল আর মহাসাগরে ঘেরা এই নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গাটির কি নাম রাখা হবে? ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট স্প্যানিশ সাহিত্যিক গর্সিয়া ওর্ডনেজ ডে মোন্টাল্ড তার বিখ্যাত উপন্যাস ” দি এডভেঞ্চার অফ এস্প্লানডিয়াম ” উপন্যাসে কাল্পনিক এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের দ্বীপের বর্ণনা করেন। বর্ণনায় সেই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সদ্য আবিষ্কৃত অঞ্চলটির মধ্যে অনেক মিল ছিল। সেই উপন্যাসে দ্বীপের রানী ছিলেন ক্যালাফিয়া। তার নামেই নামকরণ হয় ক্যালিফোর্নিয়া। সৌন্দর্যে আর বৈভবে সমৃদ্ধ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে পরিচিত হলেও ভূতাত্বিক আর ভৌগোলিক মানদন্ডে বড় স্পর্শকাতর।
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরভাগ হল প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ আর দক্ষিণভাগ হল দাবানলপ্রবন। প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার রয়েছে ক্যালিফোনিয়ার উত্তরভাগে। এখানে অনেকগুলি টেকনিক প্লেট একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। ৭৫০ মাইল লম্বা স্যান আন্দ্রেয়াস ফল্ট উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার নীচে দিয়ে চলে গেছে। এখানে প্যাসিফিক প্লেট ক্রমাগত উত্তর দিকে এগোবার চেষ্টা করছে , সেটা উত্তর আমেরিকা প্লেটটিকে ক্রমাগত ধাক্কা মেরেই চলেছে। তার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার ঘন ঘন ভূকম্পন। আবার দক্ষিণ দিকের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানকার আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য হল ঝোড়ো সামুদ্রিক বাতাস আর বৃষ্টিপাতের অস্বাভাবিক স্বল্পতা।
বৃষ্টিপাত কম হলে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে আর তখনই সৃষ্টি হয় খরা। খরার ফলে গাছপালা শুকিয়ে মারা যায় আর পরবর্তী সময়ে এগুলি দাহ্য পদার্থে পরিণত হয়। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে তাহলে সেই অঞ্চলে দাবানল হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক নয়। সাম্প্রতিক দাবানলের কেন্দ্রবিন্দু হল লস এঞ্জেলস।
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে শান্তা আনা ঝড় ৬০থেকে ৭০ মাইল বেগে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের দিকে বইতে শুরু করে। গত এক দশক ধরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দীর্ঘ খরার ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে, গাছপালা ঝোপঝাড় সব শুকিয়ে গেছে – এসবই বনের মধ্যে দাবানল জ্বলার পক্ষে খুবই সহায়ক। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণে যে দাবানল সৃষ্টি হয় তা কিন্তু নয়,মানুষের ভুল- ভ্রান্তিতেও দাবানল সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে লস এঞ্জেলসের ভৌগোলিক অবস্থানটা জানা খুবই জরুরী। লস এঞ্জেলসের মোট আয়তন হল ৩৩, ৯৫৪ বর্গমাইল, আর তার মধ্যে বসবাসের উপযোগী শহরাঞ্চল হল মাত্র ২২৮১ বর্গমাইল। বাকি অঞ্চলটা বন আর পাহাড় দিয়ে ঢাকা। দক্ষিণ কালিফোর্নিয়ার বনাঞ্চল হল ৩২ শতাংশ, ঘাসের পাহাড় ২৮ শতাংশ, মরুভূমি ২৫ শতাংশ, কৃষিজমি ৫ শতাংশ, জলাভূমি ২ শতাংশ আর বসবাস উপযোগী জমি হল ৮ শতাংশ। এখানকার ৬০শতাংশ বনাঞ্চল সরকার মালিকানাধীন আর ৪০ শতাংশ হল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বনাঞ্চলে হয় চাষাবাদ আর পশু -পালন। চাষাবাদ আর পশু পালনের নাম করে তৈরি হয় দামী দামী ফার্ম হাউস।। তার ফলে লস এঞ্জেলস নামক মুদ্রাটির একপিঠে যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয় তাহলে তার উল্টোপিঠে রয়েছে বিধ্বংসী দাবানল।
গত বছর গ্রীষ্মে এখানে খুবই গরম ছিল। শরৎকাল আর শীতকালেও খুব গরম ছিল। শহরের কেন্দ্রস্থলে অক্টোবর অব্দি মাত্র ০. ১৬ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে,যা স্বাভাবিক গড় বৃষ্টিপাতের থেকে ৪ ইঞ্চি কম। গবেষকরা মনে করছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন আর অত্যধিক কম আর্দ্রতা – শুকিয়ে যাওয়া বিশাল বন্যভূমিকে দাবানলপ্রবন করে তুলেছে।
পশ্চিম উপকূল বরাবর রকিস অঞ্চলে আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে বছরের পর বছর ধরে যে দাবানলের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তার প্রধান কারণ হল জলবায়ুর চারিত্রিক পরিবর্তন। ২০১২ সালে রকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানে যে দাবানলের আবির্ভাব হয়েছিল, কয়েক সপ্তাহ ধরে নেভানো যায়নি। বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ডন হুইটমোর বলেছিলেন – এর জলবায়ুর পরিবর্তনই দায়ী। তিনি মনে করেন খরার জন্য বনের গাছগুলি যেসব শুকিয়ে যাচ্ছে,আর সেটাই হল দাবানলের প্রধান কারণ। বসন্তকালে আর্দ্রতার অভাব আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থেকে দাবানলের সূত্রপাত আর অস্বাভাবিক দ্রুততায় তার বিস্তারতা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দাবানল এতটাই অপ্রত্যাশিত আর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে তাদের আবার নতুন নতুন নামকরণও হচ্ছে। বিভিন্ন ঝড়ের নামকরণ আমাদের অজানা নয় কিন্তু দাবানলের আবার নামকরণ? ফায়ারনাডো, গিগাফায়ার, ফায়ার সিজ-এমন কি আগুনের মহামারী হল সব উল্লেখযোগ্য দাবানল। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় দাবানল সাধারণত মরুভূমির সহায়তায় সৃষ্টি হয়। আজকাল বাতাসে তীব্র আর্দ্রতার ফলে উপকূল বরাবর গাছগুলি এতটাই শুকিয়ে যাচ্ছে যে দাবানলের জন্য আর বাতাসের প্রয়োজন হচ্ছে না।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য সবসময় প্রকৃতিকে দায়ী করা উচিত নয়। মানুষের ভুলভ্রান্তিতেও দাবানলের যে সূত্রপাত হয় তা আগে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে। বৈদ্যুতিক পাওয়ার লাইন থেকে অগ্নিসংযোগ হয়ে দাবানল সৃষ্টি হচ্ছে না তো? ২০২২সালের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী দাবানলের আগুন প্রতিরোধকারী যেসব যন্ত্রপাতি লাগানো আছে তা সব সময় ঠিক মতো কাজ করছে না। সম্প্রতি বিদ্যুৎফুলিঙ্গের আগুন থেকে বিগ বেসিন রেড উড স্টেট পার্কে আগুন লেগেছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বজ্রপাতের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। অনেক সময় বজ্রপাতের ফলেও দাবানলের সৃষ্টি হয়। প্রবল খরা আর বিষাক্ত পোকামাকড়ের জন্য ১৬৩ মিলিয়ন গাছ শুকিয়ে মারা গেছে।
২০১৮ সালের ৮ই নভেম্বর প্যাসিফিক গ্যাস এন্ড ইলেকট্রিক কোম্পানি ট্রান্সমিশন লাইনে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের ফলে একটা বিশাল আকারের আগুনের ফুলকি এসে পড়ে লস আঞ্জেলস এর পাশে গুত্তে কাউন্টির সিয়েরা নেভাডা পাহাড়ের কোলে প্যারাডাইস বনাঞ্চলে। তখন খুব ঝোড়ো বাতাসও বইছিল। মুহূর্তের মধ্যে সেই ছোট্ট স্ফুলিঙ্গ দাবানলের আকার নিয়ে জ্বালিয়ে দিল ১, ৫৩, ০০০ একর সুবিস্তৃত অঞ্চল, ১৯০০০ বিভিন্ন ধরনের ঘরবাড়ি আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৫ জন। ৫০, ০০০ মানুষদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করাও হয়েছিল। এই আগুন কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বলেছিল। আর্থিক ৭ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৬৫ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিককালে আমেরিকার দাবানলের ইতিহাসে এটাই ভয়ংকর দাবানল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
ইদানীং দাবানলের গতিপ্রকৃতি আর চারিত্রিক ভয়াবহতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে দাবানল প্রতিরোধ খাতে ২০০৫-০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিসের যে বাজেট ছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার সেটাই ২০২১- ২২ সালে বেড়ে হয়েছে আনুমানিক ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। দাবানলের আগুনে ফসলেরও খুব ক্ষয়ক্ষতি হয়। তার থেকেও বেশি আতঙ্কের বিষয় হলো দাবানলের ধোঁয়ায় আঙ্গুরের ফলন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই রাজ্যে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের মদের ব্যবসা এই আঙ্গুরের ফলনের উপর নির্ভরশীল।
বাতাসে যাতে গ্রীন হাউজ গ্যাস কম নির্গত হয় তার জন্য ক্যালিফোর্নিয়াতে যে বিশেষ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তিকরণ করা হয়েছে তা অন্য কোন রাজ্যেই নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দাবানলের অগ্নিকাণ্ড থেকে যে ধোঁয়া বেরোয় তা যদি এক সপ্তাহ চলে,তাহলে বাতাসে এক বছরে যে পরিমাণ গ্রীন হাউজ গ্যাস কম করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ বৃথায় রূপান্তরিত হয়। দাবানলের আগুন নেভানোর জন্য বাতাসে পাম্প করে যে সব রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয় তা বাতাসকে আরও দূষিত করে তোলে।
একটা দাবানল লক্ষাধিক গাড়ির চেয়েও বেশি পরিবেশকে দূষিত করে। দাবানলের আগুনে যে গাছপালা জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায় তার থেকেও বাতাসে কার্বনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গাছ পোড়া কালো কার্বন,গ্রীনহাউস গ্যাসের থেকেও কয়েক হাজার গুণ বেশি ক্ষতিকারক। দাবানলের আগুন নিভে যাওয়ার পরেও ক্ষয়িষ্ণু বনগুলি থেকে আরও অনেক ক্ষতিকারক বস্তু নির্গত হয় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক।
দাবানলের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে।বড় বড় বনের মধ্যে আর ঘাসে ভরা পাহাড় গুলির মধ্যে কিছু বিরল জাতীয় আগাছার সন্ধান পাওয়া গেছে যারা ইকো সিস্টেমকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিচ্ছে এমনকি দাবানলের গতি বৃদ্ধি করে দূর দূরান্তের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে। এই আগাছাগুলি হল চিটগ্রাস, আরুন্ড আর ফ্রেঞ্চ ব্রুম। এই আগাছাগুলির পাতা খুব সরু, তীক্ষ্ণ আর শুকনো- এর মধ্যে রয়েছে খুব বেশি পরিমাণে সেলুলোজ, লিগনিন আর উদ্বায়ী তেল, যা খুব সহজেই আগুন ধরে যায়। এই আগাছগুলি বিশাল বড় ফুটবলের মত গোলাকার চেহারার হয়। এই ধরনের গাছে আগুন লাগার পরে ঝোড়ো বাতাসে গোলাকার আগাছার অগ্নিপিন্ডটা উল্কাপিন্ডের মত খুব দ্রুত গতিতে ভাসতে ভাসতে একরের পর একর বনাঞ্চলে দাবানলের আগুন খুব সহজেই ছড়াতে ছড়াতে এগিয়ে যায়। এই আগাছাগুলি শনাক্তকরণের পর কিভাবে নির্মূল করা যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।
দাবানলের বহ্নিশিখায় লস এঞ্জেলস এখনও জ্বলছে , তবুও সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না, কবে এই আগুন নিভবে। বিভিন্ন কারণে দাবানল হয়। দাবানলের ঘটনাটা এক্ষেত্রে সঠিক কি কারণে হল,তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এখনও চলছে।