নিজস্ব প্রতিনিধি— নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির পর সোমবার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট ৷ রায়গঞ্জের চাকুলিয়ায় সভা থেকে এই রায় নিয়ে বেনজির সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কী ভেবেছেন আপনারা৷ “আমি চাকরি দেব, আর আপনারা কলমের খোঁচায় চাকরি কেডে় নেবেন! এটা বেআইনি নির্দেশ৷ আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব”৷ বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “না মন্দির না মসজিদ না গুরুদ্বারা৷ এটা বিজেপির বিচারালয়৷ বিজেপি যেখানে বসে বিচার করে, রাজনৈতিক বিচার৷ “অন্য কেউ পিল (পড়ুন পিআইএল তথা জনস্বার্থ মামলা) করলে দেবে তাকে কিল, আর বিজেপি আপিল করলে বেল, বাকিদের জেল৷ এটা আজ নয়, অনেক দিন ধরে চলছে”৷ আরও বলেন, “এটা বিচারপতিদের দোষ নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ৷ তারা বিজেপির লোক দেখে দেখে এখানে বসিয়েছে৷ বিজেপি পার্টি অফিস থেকে যা বলে দেয়, সেই ড্রাফ্টটা তারা করে দেয়”৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কী করবেন সাজা দেবেন, জেলে পাঠাবেন? আমি তৈরি৷ কারণ মানুষের কথা বলার জন্য আমাকে যদি শাস্তিও পেতে হয় আমি তৈরি”৷
প্রসঙ্গত, আদালত রায় ঘোষণার আগে শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সোমবার বিস্ফোরণ হবে, তাতে শাসক দল টলে যাবে৷ শুভেন্দুদের সেই হুমকিকে এদিনের রায়ের সঙ্গে জুডে় দেখানোর জন্য চেষ্টা করেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে বোঝাতে চান, বিজেপিই কলকাঠি নেডে়ছে৷ গোটা ব্যাপারটার পিছনে যে ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আরও স্পষ্ট করে বোঝাতে ইঙ্গিত করতে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁডি়য়ে গেল! তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়টি সেট অ্যাসাইড করে বলেছিল, নতুন করে ডিভিশন বেঞ্চ তৈরি হোক৷ কিন্ত্ত কাকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গড়বে? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে”৷ পরে তিনি বলেন, আমি বিচারককে নিয়ে কিছু বলছি না৷ রায় নিয়ে বলছি৷ এবং রায়কে আমি চ্যালেঞ্জ করছি”৷
Advertisement
Advertisement
Advertisement



