• facebook
  • twitter
Friday, 13 June, 2025

কাঁপছে বাংলাদেশও

হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ভারত করল ‘অপারেশন সিঁদুর’। কারণ, জম্মু-কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল বিরামহীনভাবে।

ফাইল চিত্র

সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চারা ঘুরতে থাকে চিনের ভিক্ষামূলক সাহায্যে, আর সমাজধর্ম পালন চলে উগ্র মৌলবাদের অঙ্গুলি হেলনে। মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রীয় প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পদ্ধতি, শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করার ধরন, প্রকাশশ্যে তীব্র সীমাহীন ভারত বিদ্বেষই এখন বাংলাদেশের প্রকৃত মৌলবাদী চরিত্র স্পষ্ট করে তুলেছে। এর পিছনে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ইউনূস এবার পড়লেন মহা ফ্যাসাদে। যে পাকিস্তানের উস্কানিতে লম্বা চওড়া ভারত বিরোধিতাই নয়, ভারত বিদ্বেষের রাজনৈতিক মহলে কূটনৈতিক সম্পর্কে বিস্তার করছিল তাতে অনেক আগেই জল ঢালল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জল স্ট্রাইক। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার কড়া ঘোষণা বাংলাদেশের ঘুম ছুটিয়েছিল। পাকিস্তান নিজেও জানে ভারতের সিন্ধু জল কমিশনার পাক কমিশনারকে তথ্য সরবরাহ না করলে পাকিস্তানের পক্ষে জল পাওয়াই সম্ভব নয়। ওয়াটার স্ট্রাইক ছিল ভারতের মাস্টার স্ট্রোক। বিশ্বমঞ্চে ভারত তার কূটনৈতিক পরিপক্কতা জলের মতো পরিষ্কার করল। জলচুক্তি সাসপেন্ড করার বার্তায় জঙ্গি মদতদাতা পাকিস্তান এক বড় ধাক্কা খেল। বাংলাদেশ তারপর থেকেই ভারত বিরোধী প্রতিক্রিয়াতে বাঁধ আনতে শুরু করল।

হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ভারত করল ‘অপারেশন সিঁদুর’। কারণ, জম্মু-কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল বিরামহীনভাবে। জলচুক্তি সাসপেনশন বার্তার পরেই পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত অনেকদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর এবার ইউনূসের মুখে ‘সেভেন সিস্টার্স’-এর দাবি। ইউনূসের প্রশ্রয়দাতা চিনও আসরে নামল ফের অরুণাচল প্রদেশের দাবি জানিয়ে।

পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বা গ্রেটার বাংলাদেশ করার অর্থ বাংলাদেশকে আবার পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করা। গ্রেটার বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বাংলাদেশের মৌলবাদী প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে প্রবলভাবে। বাংলাদেশি নাগরিকদের নানা উদ্দেশে নানা রূপে অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গে। তারা রাজনৈতিক দলের মদতে পাচ্ছিল পরিচয়পত্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ি কেনা ইত্যাদি নানা কৌশলে পাক স্পনসরড বাংলাদেশি মৌলবাদ অনুপ্রবেশ করছে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে। বাড়ছে জঙ্গি কার্যকলাপ। মৌলবাদী শক্তিগুলি ক্রমশ সক্রিয়। বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি আবার পাকিস্তানের আইএসআই-এর দোসর। তাই ভারতে যখনই কোনও রাষ্ট্র সংস্কারমূলক প্রক্রিয়ার কথা ওঠে, তখনই সীমান্তে বিদ্বেষ স্পনসরড করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ মনে মনে এক আত্মসুখ অনুভব করছিল, যেখানে তারা স্বপ্ন দেখছিল মৌলবাদের জোরে জব্দ করবে সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গকে। কিন্তু এবার? অপারেশন সিঁদুরের পরপর যেভবে ইজরাইলের স্টাইলে পাকিস্তানকে ভারত জব্দ করেছে, তা ভাবেনি বাংলাদেস। পহেলগামে যখন ধর্ম বেছে বেছে পর্যটকদের হত্যা করেছে জঙ্গরা, তখনই পাপের সব সীমা লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। জঙ্গিদের জন্ম ও আশ্রয়ের মদত ঘাঁটি পাকিস্তান। ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের প্রত্যাঘাত, যা আত্মমর্যাদার শুদ্ধকর্ম। পাকিস্তানে কোনওদিন জঙ্গি বিরোধী আন্দোলন হয় না। যতবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে হানা দেয়, ততবার যেন জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে পাকিস্তান। সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে মাথাব্যথা নেই তদের, জঙ্গিরা নিহত হলে পাক জাতীয় পতাকায় মুড়ে তাদের কফিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবর দেওয়া হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ কম্পন ধরিয়েছে পাকিস্তানের, একই সঙ্গে বাংলাদেশেরও।