এক টোটোচালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার সাতসকালে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের ফিডার ক্যানাল সংলগ্ন এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, যুবককে অন্যত্র খুন করা হয়েছে। তারপর ফিডার ক্যানেল সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ। কী কারণে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হল, তা নিয়ে ধন্দ ছড়িয়েছে। নেপথ্যে কে বা কারা, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। মৃতের পরিবার, পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই টোটোচালক। তাঁর নাম ডালিম শেখ (২৮)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের তরফে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর শুক্রবার ভোরে ফিডার ক্যানাল সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধার হয় ডালিম শেখের ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি দেখতে পাওয়া মাত্রই থানায় খবর দেন। এই নৃশংসতার পিছনে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চার সন্তানের বাবা ডালিম শেখ তাঁর নতুন কেনা টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ধুলিয়ান শহরে আসেন। ওই এলাকা থেকেই তিনি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতেন। মৃতের পরিবারের দাবি, ডালিম খুন হওয়ার পর থেকে তাঁর কেনা টোটোটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, ওই টোটোটি চুরিতে বাধা দেওয়ার কারণে খুন করা হয়েছে ডালিমকে।
পুলিশেরও অনুমান, ডালিম টোটো ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। মাথা এবং শরীরের অন্য কয়েকটি জায়গায় মোটা এবং ভারী কোনও কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিতকুমার সাউ বলেন, ‘ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ইতিমধ্যেই আমরা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।’