তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়ির চালককে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায়। চলতি মাসের শুরুতেই সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তাঁর গাড়িচালকের উপর হামলার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলার কারণ ঘিরে ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীরা।
মালদহের মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়ির চালকের নাম অনুপ সাহা। শনিবার রাতে অনুপবাবু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় পুরাতন মালদহ ব্লক গেটের সামনে তিনি দেখতে পান, তিন-চার মুখ বেঁধে ঘুরছে। সেই সময় তাঁদের ছবি তুলতে যান অনুপবাবু। অভিযোগ, সেই সময় অনুপের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা অনুপের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মৌলপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। আহতের দাবি, পুরনো আক্রোশের জেরেই সম্ভবত এই ঘটনা। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর উপর হামলার বিষয়ের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করছে। অনুপের স্ত্রী বলেন, ঘটনার কী কারণ আমরা বুঝে উঠতে পারিনি, তবে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম ভোলা এবং পবন ঘোষ। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই স্থানীয়। সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে অনুপের বচসা হয়। পরে হামলা চালায় তাঁরা। সম্প্রতি, মানিকচক থেকে ফেরার পথে একটি গাড়ি সাবিত্রীর গাড়িকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পান তিনি। তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছিলেন, তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়।