ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি এলাকা। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুলপি ব্লক হাসপাতালে । পরে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত থাকায় তাঁকে রাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম শামসুর আলম মীল। রবিবার রাতের দিকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন শামসুরের কাকা রাজের শেখও। তিনি বর্তমানে কুলপি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে বিজেপি ও আইএসএফের অভিযোগ, সংগঠন কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর ঝামেলা চলছিল। এই কারণেই হামলা হয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
Advertisement
রবিবার রাতেই কুলপি থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুলপির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তৃণমূলের দলীয় অফিসে আসা যাওয়া করেন। প্রথমে তাঁরা শামসুরকে রাস্তায় দেখে গালিগালাজ করতে থাকেন। শামসুর প্রতিবাদ করলে শুরু হয় মারধর। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন সুপ্রিয়।
Advertisement
Advertisement



