একই পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তায় পুলিশ প্রশাসন। জানা যায়, কখনও পরিবারের সকল সদস্য একত্রে আত্মহত্যা করেছেন, আবার কখনও নিজের পরিবারের সদস্যদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কোনও ব্যক্তি। কারণ স্পষ্ট না থাকলে এই ধরণের ঘটনায় সাধারণত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর আগেও ২৮ মে চন্দননগরেই একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গৃহকর্তা। ফের চন্দননগরেই একই পরিবারে তিনজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
সূত্রের খবর, চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকার একটি বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাবা-মা এবং মেয়ে। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরাই প্রথম এই ঘটনা লক্ষ্য করেন। তাঁরা ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃদ্ধ মা-কে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসার পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃদ্ধ বাবা এখনও চিকিৎসারত। মেয়ে সুস্থ হওয়ার পর জানিয়েছে, কর্মের অভাবে তাঁদের সংসারে অনটন লেগেই থাকত। সম্প্রতি অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই তিনজনেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীদের মারফত জানা গিয়েছে, আগে ওই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালোই ছিল। তাঁদের কোলিয়ারী ব্যবসা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবসার অবস্থা খারাপ হয়। আর সেই অবসাদ থেকেই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে মনে করা হচ্ছে।