র্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আবাসনে অর্থাৎ হস্টেলে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে শনিবার আবাসিক পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা উপাচার্যের অফিসের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের একপ্রস্থ খণ্ডযুদ্ধ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পড়ুয়ারা অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।’
সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়াদের জন্য ১১টি হস্টেল বরাদ্দ রয়েছে। সেগুলির মধ্যে চারটি হস্টেল ছাত্রীদের জন্য এবং সাতটি হস্টেল ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ। আবাসিক পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রত্যেক হস্টেলরই বেহাল দশা। একাধিক অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁদের দিন গুজরান করতে হয়। পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকা এরকম কয়েকগুচ্ছ সমস্যার মুখোমুখি তাঁদের প্রতিদিন পড়তে হয়। পানীয় জল পরিস্রুত করার জন্য নির্দিষ্ট কোনও মেশিন নেই। হস্টেলের বাইরে ঠিকমতো আলো নেই। অন্ধকারে পড়ুয়াদের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। এছাড়াও, হস্টেলের বাইরে আগাছায় ভরে গিয়েছে। বর্ষায় আগাছার বাড়বাড়ন্ত অনেক বেশি বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলার পরও জঙ্গল সাফ করার কোনও ব্যবস্থাই তাঁরা করেনি। এর ফলে বিষাক্ত পোকামাকড় ও সাপের ভয় আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলে নিরাপত্তাজনিত গাফিলতিও রয়েছে। যে সকল নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন তাঁরা কেউই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। হস্টেলের ভিতরে বাইরের লোকের আনাগোনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শনিবার আবাসিক পড়ুয়ারা একত্রিত হয়ে এই নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে উপাচার্য শঙ্কর নাথের ঘরের সামনে যান। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের ঢুকতে দেননি। তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন। এরপরে পড়ুয়ারা জোর করে বিক্ষোভ দেখিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাঁদের সমস্যা শোনেন এবং ডেপুটেশন জমা নেন।
Advertisement
Advertisement



