কৃষ্ণনগরের তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তাল নদিয়া। বুধবার কল্যাণীতে শেষ হয় তরুণীর ময়নাতদন্ত। আর তারপরই কৃষ্ণনগরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
এদিন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল বসু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃত তরুণী ও রাহুল পূর্ব পরিচিত ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি জানান, আরও কিছু তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে এই ঘটনার তদন্তে। সেই তথ্য পাওয়ার জন্যই ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলো রাহুলকে। এমনকি গোটা ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে সিট। যার নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথ। এখনও অবধি ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
যদিও তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, পরিবার শোকগ্রস্ত। তাঁদের মেয়েকে হারিয়েছেন। তাঁদের এই দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ মর্যাদা রয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালী থানার রামকৃষ্ণ মিশন পাড়া এলাকায় একটি পুজো মণ্ডপের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর মৃতদেহ। তরুণীর মুখ পোড়া ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এরপর তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে, ওই তরুণীর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করা হয়।পোস্টে লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো। পোস্ট ঘিরে শুরু হয় জোর চর্চা। পোস্টটি তরুণী করেছিল নাকি অন্য কেউ সেই নিয়েও পুলিশের পক্ষ্য থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত।
যদিও তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে রাহুল বসু ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলেও তরুণীর মা অভিযোগ তোলেন।
পরিবারের দাবি, ওই তরুণী মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি মুদিখানার দোকানে যায়। বাড়ি না ফেরায় তরুণীকে ফোন করা হলে সে জানায়, রাস্তায় রাহুল ও তার বন্ধুদের সঙ্গে সে কথা বলছে। এরপরও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। শুরু হয় খোঁজখবর। আর তারপরই তার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার চলছে তদন্ত।
Advertisement



