নিখোঁজ এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের মুরারই থানার বাহাদুরপুর এলাকায় ৫ এপ্রিল সকালে চরম চাঞ্চল্য দেখা দেয়। খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।
মুরারই থানার বাহাদুরপুর গ্রামের যুবক শেখ নূর ইসলাম বিভিন্ন লোকজনদের টাকা ধার দেওয়ার কারবার করতেন বলে তাঁর পরিবারের লোকজনরা জানিয়েছেন। ইদানিং কয়েকজন শেখ নূর ইসলামের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েও তা সময়মতো পরিশোধ না করায় এনিয়ে শেখ নূর ইসলামের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ চলছিলো। বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল রাত দশটার সময় তাঁদেরই কেউ একজন শেখ নূর ইসলামের মোবাইলে ফোন করে টাকা পরিশোধ করার কথা জানায়। ওই ফোন পেয়েই রাত দশটার সময় শেখ নূর ইসলাম বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেননি। সেই থেকে তাঁর খোঁজখবর করা হলেও কোথাও শেখ নূর ইসলামের সন্ধান মেলেনি।
Advertisement
শনিবার ৫ এপ্রিল সকালে গ্রামের কয়েকজন লোক মাঠে কাজে যাওয়ার সময় এলাকার পাগলা নদীর ধারের একটি জঙ্গল থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ আসায় সেদিকে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে শেখ নূর ইসলামের পচাগলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে মুরারই থানায় খবর দিলে, পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতদেহের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও গলায় সেলোটেপ লাগানো অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি অবশ্য পাওয়া যায়নি। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ নূর ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে রাতে টাকা পরিশোধ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শেখ নূর ইসলামের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে, সেই রাতে কে তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো তা জানা গেলেই, এই খুনের কিনারা হয়ে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। মুরারই থানার পুলিশ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে খুনের পদ্ধতিটি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
Advertisement
Advertisement



