নদিয়ার গয়েশপুরে অবস্থিত পিঁজরাপোল সোসাইটি। সেই সোসাইটিকে সম্পত্তি করে বেলাগাম ছাড় গয়েশপুর পৌরসভার, যা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। লিখিত অভিযোগ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি গয়েশপুর পৌরসভার ১০ জন কাউন্সিলরদের। নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে ছাড়, দাবি পৌর প্রধানের।
পিঁজরাপোল সোসাইটি, যেখানে বেওয়ারিশ গরুদের রক্ষা করে প্রতিপালন করা হয়। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। গয়েশপুরে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে এই পিঁজরাপোল সোসাইটি। অভিযোগ, ২০০৩ সাল থেকে এই পিঁজরাপোল সোসাইটি গয়েশপুর পৌরসভাকে কোনরকম সম্পত্তি কর দেয় না। আরও অভিযোগ, এই সোসাইটিকে সম্পত্তি করে আইন না মেনে বেলাগাম কর ছাড় দিয়েছে গয়েশপুর পৌরসভা। অভিযোগের তীর গয়েশপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সুকান্ত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে।
Advertisement
গয়েশপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক পাল বলেন, ‘পিঁজরাপোল সোসাইটির সম্পত্তি করের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার বেশি। সেখানে আইন না মেনে পৌরসভা সম্পত্তি করে পিঁজরাপোল সোসাইটিকে ছাড় দিয়েছে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকারও বেশি।’ পৌরপ্রধান নিয়ম না মেনেই বেলাগাম ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ মানিকবাবুর।
Advertisement
গয়েশপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মরণকুমার দে বলেন, ‘২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান গয়েশপুর পৌরসভাকে সম্পত্তি কর দেয় না বলে অভিযোগ। পৌর বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র লিখিতভাবে আমরা ১০ জন কাউন্সিলর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছি।’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গয়েশপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সুকান্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, ‘আইন, নিয়ম মেনেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী সমস্ত কাউন্সিলররা সব জানে। কমিটি গঠন করে আলোচনা করে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
Advertisement



