খাস কলকাতার বুকে দিনের আলোয় ট্যাক্সি থেকে আড়াই কোটি টাকা লুট করা হয়েছিল। গত ৫ মে ডাকাতির এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। প্রথমে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সন্দেহ ছিল আরও অনেকে এই লুটের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। তাই পুলিশের তরফে তল্লাশি জারি ছিল। এবার এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে খোদ কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলকে।
সূত্রের খবর, ধৃত পুলিশ মিন্টু সরকার দক্ষিণ দিনাজপুরের জয়পুর থানার বাসিন্দা। তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের কনস্টেবল পদে নিযুক্ত ছিলেন। দিনেদুপুরে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত ব্যক্তিদের জেরা করতে পুলিশ কনস্টেবল মিন্টুর সরকারের নাম জানা গিয়েছিল।সেই সূত্র ধরেই তাঁকে প্রথমে আটক করা হয়। তারপর লাগাতার প্রশ্ন ও জেরা করলে নিজের মুখেই অপরাধ স্বীকার করেছেন ওই পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশের কাজ অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু যখন পুলিশই অপরাধীদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তখন তা পুলিশ প্রশাসনের জন্য যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। যদিও এই বিষয় কলকাতা পুলিশের কোনও অধিকারিকই কোনও মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংস্থায় কর্মরত সম্রাট ঘোষ ও তাঁর সহকর্মী সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্যাক্সি ভাড়া করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের কাছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ছিল। পথে হঠাৎ ২ জন ব্যক্তি জোর করে তাঁদের ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে। তারপরই তাঁদের থেকে ওই টাকা রীতিমতো হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তদন্তে এই ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার কলকাতা পুলিশ নিজেদেরই এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে।