ফের উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মৃতার বাপের বাড়ির তরফ থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার করা হত বাড়ির বউকে। অনেক বোঝালেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এর জেরেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি গৃহবধূর বাপের বাড়ির পরিবারের। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে বাপের বাড়িতে খবর পৌঁছায়, তাঁদের মেয়ে ফতেমা আত্মঘাতী হয়েছে। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁরা। মেয়ে ফতেমা খাতুনের বয়স মাত্র ২০। বিয়ের এক বছর না গড়াতেই এমন মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েছিলেন বাপের বাড়ির সদস্যরা। এরপরই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার জন্য ফতেমার উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সে বহুবার বাপের বাড়িতে এই বিষয়ে জানিয়েছিল।
বাপের বাড়ির পক্ষ থেকেও তাঁদের মধ্যে মধ্যস্থতা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। নির্যাতন ক্রমশ বাড়তেই থাকে। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে, আত্মহত্যা নয়, পণের দাবিতেই খুন করা হয়েছে ফতেমাকে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্যই খুনের পর দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দাবি করেছে মৃতার বাপের বাড়ির পরিবার।