• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার নাবালিকার

এক ব্যক্তি গরু চরিয়ে ফেরার পথে ন'পাড়ার রবীন্দ্রপল্লি এলাকার একটি বাঁশঝোপের পাশে কিশোরীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

প্রতীকী চিত্র।

হুগলির কানাইপুরের বাসিন্দা বছর তেরোর এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরী মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রতিবেশী যুবক অসীম মজুমদার তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পাওয়ার পর থেকে এলাকায় স্নিফার ডগ নামায় পুলিস। একটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়। তবে নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বাড়ি থেকে দূরে ন’পাড়া থেকে উদ্ধার হল দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী যুবক অসীম মজুমদার তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবক মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে বলেন, কিশোরীকে মেরে পুঁতে দিয়েছি। তারপর থেকে ওই যুবকও বেপাত্তা ছিল। অবশেষে দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বভাবের জন্য তিন বছর আগে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ভাড়াবাড়িতে মা, বাবা এবং নিজের ছেলেকে নিয়ে থাকে।

এক ব্যক্তি গরু চরিয়ে ফেরার পথে ন’পাড়ার রবীন্দ্রপল্লি এলাকার একটি বাঁশঝোপের পাশে কিশোরীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি বাকিদের জানালে, পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস কানাইপুরের নিখোঁজ কিশোরীর ছবির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া দেহ মিলিয়ে দেখেন, দু’জনই এক। তারপর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল।

Advertisement

নাবালিকার দিদিমা বলেন, ওই দিন আমার হাতে ডাল-ভাত-ডিম খেয়েছিল। শেষবার আমার হাতে খেয়েছিল। ওই আমি একটু ডাল ভাত মেখে দিয়েছিলাম। একটা ডিমও ছিল। নাতনি নিখোঁজ হওয়ার পর দু’দিন নিদ্রাহীন কেটেছে তাঁর। সেই নাতনির নিথর দেহ উদ্ধারের পর থেকে শুধুই বিলাপ করে চলেছেন তিনি। তিনি বলেন, অভিযুক্তের কঠিন শাস্তি চাই। আমার নাতনিকে যেমন মেরেছে, ওকেও মেরে ফেলা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও পরিবার অভিযোগ তুলেছে তাঁদেরকে দেহ না দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগে স্থানীয়দের একাংশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায়। পরে জানা যায়, পরিবারের তিন সদস্যকে দেহ শনাক্তকরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত উপ-প্রধান ভবেশ ঘোষ বলেন, দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস দেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সিপিএম থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ওটা ওদের নাটক। পুলিস তদন্ত করছে। আমরা পরিবারের পাশে আছি।

কানাইপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রথমত এটা জঘন্যতম অপরাধ। এবং এই অপরাধ যে বা যারা ঘটিয়েছে, তাদের কঠোরতম শাস্তি চাইছি। ধর্ষণ করে খুনের চরমতম শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। বিধানসভায় সেই বিল আনা হয়েছে। যেটা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। আমরা চাই এই ঘটনায় চরমতম শাস্তি হোক, যাতে আগামী দিনে অন্যরা এ ধরনের অপরাধ ঘটাতে সাহস না পায়।’

Advertisement