আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশনের নবম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে পলাতক অভিযুক্ত। ওই ছাত্রকে যৌন হেনস্থা এবং ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৯ মে আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশনের নবম শ্রেণির ছাত্র সুদীপ মাজির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ছাত্রের মোবাইল খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আসানসোল কসাইমহল্লার এক বাসিন্দা ইমরান শেখ ওই ছাত্রকে বল প্রয়োগ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর গাড়ির মধ্যেই তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়। সেই সময়ের কিছু আপত্তিকর ছবিও মোবাইলে তুলে রেখেছিল ইমরান। সেই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নবম শ্রেণির ছাত্রকে বারবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের করা শুরু করে ওই অভিযুক্ত যুবক।
ইনস্টাগ্রাম চ্যাট ও ফোন কল রেকর্ড খতিয়ে এই সব কিছুর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, একটা সময়ের পর আর টাকা দিতে পারছিল না সুদীপ। কিন্তু অপর পক্ষ থেকে চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকে। আর সেই চাপ সামলাতে না পেরে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথই বেছে নেয় সুদীপ। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছিল। তবে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে রবিবার রাতে পলাতক ইমরান শেখের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁকে তখনই গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন ,তাঁকে জেরা করলেই ঘটনার কিনারা পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।