ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের ১৩০তম আবির্ভাব বর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্মথপুর প্রণব মন্দির রূপ নিল এক বিরল আধ্যাত্মিক মহোৎসবের কেন্দ্রে। তিন দিনব্যাপী চলা এই মহোৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল দেশের ১৩০টি নদীর পবিত্র জল একত্র করে আচার্য্য দেবের মহাভিষেক, যা ভক্তমহলে গভীর উন্মাদনা ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি করেছে।
ভক্তদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গা, যমুনা, নর্মদা, গোদাবরী-সহ দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বড় ও ছোট নদী এবং ঐতিহাসিক ঘাট থেকে সংগ্রহ করা জল বিশেষ পূজা-পদ্ধতির মাধ্যমে মন্দিরে পৌঁছয়। সেই পবিত্র জল দিয়েই সম্পন্ন হয় মহাভিষেক। আয়োজকদের মতে, ‘১৩০ নদীর পবিত্র জল দিয়ে মহাভিষেক’ দেশের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য, ঐক্য ও ধর্মীয় সমন্বয়ের বার্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলল।
Advertisement
রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি কেন্দ্রে মায়েদের নেতৃত্বে শিবজ্ঞানে অভিষেক, আরতি ও বিশেষ ভক্তিসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি মন্দিরে ১৩০ প্রকার অন্ন দিয়ে অন্নকুট ভোগ নিবেদন করেন ভক্তরা। ছিল সাধু ভাণ্ডারা, ভক্তিমূলক পাঠ, এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন। অসুস্থ ও প্রবীণ বাসিন্দাদের বাড়িতেও ভোগপ্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে আয়োজকরা।
Advertisement
এদিন মন্মথপুরে অনুষ্ঠিত মহোৎসবকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয় কালীঘাট-মহাতীর্থের প্রাচীন বজরংবলির মূর্তিতে। উপস্থিত ছিলেন কালীঘাট মন্দির কমিটির প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন মঠ-মিশনের বহু সন্ন্যাসী।
তিন দিনের এই বৃহৎ উৎসবে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে মন্মথপুর ও আশপাশের এলাকা ভরে ওঠে আধ্যাত্মিকতা, শৃঙ্খলা, শান্তি ও ভক্তিভাবের আবহে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই আয়োজন শুধু উৎসব নয়—এ যেন ‘এক আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের’ অভিজ্ঞতা।
Advertisement



