খড়গপুর পুরসভায় তথ্য জানার অধিকার আইনে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আবেদন জানিয়ে অভিনব জবাব পেলেন ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আইনজীবী দিলীপ ভট্টাচার্য।
দিলীপবাবু গত ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তথ্য জানার অধিকার আইনে খড়গপুরের পুরপ্রধানের কাছে জানতে চান ১৬ নং ওয়ার্ডের ভগবানপুর মৌজায় হোল্ডিং নং ৪২২/৩৩৯-এ সম্পত্তির দাবিদার কে, দ্বিতীয় যে প্রশ্নটির জবাব তিনি চান এটি হলো ওই জমির উপরে কোনও বিল্ডিং প্ল্যান পুরসভা অনুমোদন করেছে কিনা, দিলীপবাবুর তৃতীয় জিজ্ঞাস্য যদি বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কবে এবং কার নামে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার চতুর্থ জিজ্ঞাস্য যদি বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়া না হয় তাহলে ওই জমিতে থাকা বিল্ডিং গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা, দিলীপবাবুর শেষ জিজ্ঞাস্য ভগবানপুরের ওই সম্পত্তির থেকে পুরসভা কোনও কর পায় কি না।
Advertisement
কিন্তু আবেদন জানানোর পর চার মাস কেটে গেলেও খড়গপুর পুরসভা, দিলীপবাবুকে কোনও জবাব দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ওই একই প্রশ্ন গত ২৯ জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কাছে রাখেন আইনজীবী দিলীপ ভট্টাচার্য। জেলাশাসকের দপ্তর থেকে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হতেই খড়গপুর পুরসভা নড়েচড়ে বসে। পুরসভা থেকে দিলীপববুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সম্প্রতি খড়গপুর পুরসভা থেকে একটি জবাব পেয়েছেন দিলীপবাবু। সেই জবাব হাস্যকর এবং পুরপ্রশাসনের পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন আবেদনকারী আইনজীবী দিলীপ ভট্টাচার্য। পুরসভার একটি নোট শিট তথ্য জানার অধিকার আইনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপবাবুকে পাঠানো হয়েছে। সেই নোট শিটে সার্ভেয়ার প্রিয়ব্রত ঘোষ লিখছেন, ১৬ নং ওয়ার্ডে ভগবানপুর মৌজায় দিলীপ ভট্টাচার্যের নামে অনুমোদিত কোনও বিল্ডিং প্ল্যান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
নোটশিটে আবেদন জানানো হয়েছে, আবেদনকারীর কাছে অনুমোদিত কোনও নকশা বা অনুমোদনের তারিখ থাকলে তা পাঠিয়ে দিলে পুরসভা বাধিত থাকবে। এই হাস্যকর জবাবের নিচে সই করেছেন পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, আমি যা জানতে চাইলাম সেই জায়গায় আমাকে বসিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করল খড়গপুর পুরসভা।
পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, আবেদনকারী ১১ নং ওয়ার্ডে একটি রাস্তা নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। ওই রাস্তা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত এলাকার আওতায় পড়ে। তাই ওর দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement



