শুক্রবার অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর শনিবার থমথমে কল্যাণীর রথতলা এলাকা। এখনও বাজি কারখানার ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ। কোথাও বাজির প্যাকেট, কোথাও রয়েছে স্তূপীকৃত পোড়া নানা জিনিস। এদিকে এই বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে শনিবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করবেন তদন্তকারীরা। ধৃতের বিরুদ্ধে ১০৫ বিএনএস এবং ৯বি ইন্ডিয়ান এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টের ধারা দেওয়া হয়েছে।
রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে এই বাজি কারখানা। শুক্রবার এখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ কেড়েছে চার মহিলা শ্রমিকের। আহত আরও এক মহিলা। আগুনে পুড়ে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এদিকে এই ঘটনার পরপরই এই বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঠিক কী ধরনের আতশবাজি এই কারখানায় তৈরি হতো তা ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
Advertisement
শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলে আসেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ঘটনাস্থল। শনিবার দুপুরে কল্যাণীর সেই বাজি কারখানায় তদন্তে আসেন ফরেনসিকের চার বিশেষজ্ঞ। তাঁরাও পুরো ঘটনাস্থলে খুঁটিয়ে দেখেন। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি নমুনা তাঁরা সংগ্রহ করেন। এই প্রসঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দেবাশীষ সাহা বলেন, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা না করা পর্যন্ত কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়।
Advertisement
অন্যদিকে, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। গোটা কারখানা চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে কল্যাণীর রথতলা এলাকার ওই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাজি কারখানার ছাদ উড়ে গিয়েছে। কারখানার ভিতরের দেওয়ালও ভেঙে পড়েছে। বিস্ফোরণের পরেই ওই কারখানায় দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। কারখানার ভেতরে থাকা বেশ কয়েকজনের চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
Advertisement



