• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

দুদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর লাগোয়া গ্রামগুলোতে। আর এতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে বোরো ধানে।

দুদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর লাগোয়া গ্রামগুলোতে। আর এতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে বোরো ধানে। রাজ্যের শস্যগোলা বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকার রায়না, খন্ডঘোষ ব্লকের বেশিরভাগ জমিতেই এই সময়ে বোরো ধানের ব্যাপক চাষ হয়। কিন্তু এবার ধান পেকে যাবার পর ঘরে তোলার মুখেই ঝড় বৃষ্টিতে ধান আর ঘরে তোলা যায়নি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রায়নার বেশ কয়েকটি গ্রামে। জল জমে ধান পুরোপুরি জলের তলায়। কোনোভাবেই ধান ঘরে তোলা যাবে না বলে চাষিরা জানিয়েছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে সারা জেলায়। তার মধ্যে বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ধানের জমিতে হাঁটু সমান জল। বেশিরভাগ জমিতে ধান পুরোপুরি জলের তলায়। আল কেটে জল বের করা সম্ভব হচ্ছে না। কোনও কোনও জমিতে কাটা ধান জলের তলায় চলে গেছে। চাষিরা বাঁশের মাচা করে কোনোরকমে ধান ছেঁকে তোলার চেষ্টা করছেন। ওই ধান গাদা করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাতে শেষ রক্ষা হবে না, এমনটাই আশংকা চাষিদের। সূত্রের খবর প্রায় ধান কেটে ঘরে তোলার শুরুতেই ভারি বর্ষণের ফলে ক্ষতি আটকানো সম্ভব হয়নি। ৭৫ শতাংশের বেশি জমিতে ধান রয়েছে। চাষিদের বক্তব্য জমিতে যে ভাবে ধান ডুবে আছে তাতে পচন হবেই। ফলে মাথায় হাত চাষিদের। অনেকে উপায় না দেখে জমিতে ধানের শীষ কেটে নিচ্ছেন। যদি সেভাবে কিছুটা লোকসান এড়ানো সম্ভব হয়। এই অবস্থায় চাষিরা এক হয়ে শস্যবিমার দাবি করেছেন। ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই মানবিক। তাঁর কাছে খবর গেলে তিনি নিশ্চয়ই চিন্তা ভাবনা করবেন, এটুকু আশা করতে পারি।

Advertisement

Advertisement

Advertisement