• facebook
  • twitter
Tuesday, 13 May, 2025

বেলুড়ে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

বেলুড়ে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সুভাষ পাল (৭৫) এবং অজিত পাল (৩৮)।

প্রতীকী ছবি

বেলুড়ে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সুভাষ পাল (৭৫) এবং অজিত পাল (৩৮)। কী কারণে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়। দু’জনের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা। সেই কারণে মৃত্যু নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু, তা এখনও জানা যায়নি। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জোড়া মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় থানার পুলিশ।

বেলুড়ের ঠাকুরন পুকুর এলাকায় গিরিশ ঘোষ রোডের বাসিন্দা ছিলেন সুভাষ পাল এবং অজিত পাল। বছরখানেক আগে অজিতের মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে বাবা-ছেলে বাড়িতে থাকতেন। অজিত একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। শনিবার সকালে ওই এলাকার স্থানীয়রা প্রাতঃভ্রমণে বেরোন। তাঁরা দেখেন, পুকুরের ধারে একটি গাছে কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বৃদ্ধ সুভাষ পালের দেহ ঝুলছে।

মৃত সুভাষের বাড়িতে খবর দিতে ছোটেন কয়েক জন। কিন্তু সেখানে গিয়ে আর এক চমক। দেখা যায়, গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তাঁর ছেলে অজিত। ওই যুবক সিলিং ফ্যান থেকে গামছা ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, প্রথমে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হন ছেলে। তা দেখেই বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা।

বেলুড় থানার পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকেরা ওই দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জয়সওয়াল হাসপাতালে তাঁদের দেহের ময়নাতদন্তে হবে। কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দু’জনে, তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক কোনও গোলযোগ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন সুভাষ-অজিত। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।