শুক্রবারই মালদহের মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়ির চালককে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, মালদহে ফের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। রবিবার ভোরে মালদহের হবিপুর থানার বুলবুলচণ্ডীর কেন্দুয়া গ্রামে নাবালক নাতির সামনে ঠাকুরমাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে বাড়িতে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। এলাকায় কীর্তনের আসর চলায় আক্রান্ত চিৎকার করলেও সেই আওয়াজ পাড়া-প্রতিবেশীরা শুনতে পাননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার কেন্দুয়া গ্রামে কীর্তনের বসেছিল। সেই সুযোগেই লুটপাট চালানোর উদ্দেশে এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই পরিবারের বড় ছেলে সুব্রত মৃধা সেনায় কর্মরত। বর্তমানে ত্রিপুরায় রয়েছেন তিনি। রবিবার ভোরে দুষ্কৃতী হানার সময় বাড়িতে সুব্রতবাবুর স্ত্রী, নাবালক দুই পুত্র এবং বৃদ্ধা মা ছিলেন। দুষ্কৃতীরা প্রথমে বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লুট করেন। ঘরে রাখা বঁটি দিয়ে বৃদ্ধাকে কোপায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় আন্নাবালা মৃধা নামে আক্রান্ত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে।
বৃদ্ধাকে কোপানোর পর পাশের ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে নগদ টাকা এবং সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। মৃধা পরিবারের সদস্যেরা চিৎকার করলেও এলাকায় কীর্তনের আসর চলায় কোনও লাভ হয়নি। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার পর লুটপাটের বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।