এক বছরের পলায়ন শেষে অবশেষে নদিয়ার পুলিশ ধরা পেল এক দুষ্কৃতীকে। গল্পের মতো ঘটনায় এইবার পুলিশকে খেলতে হলো ‘জেলে’ ছদ্মবেশে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সমুদ্রের মধ্যেই অভিযান চালাতে হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ২০২৪ সালে বনগাঁর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস হরিণঘাটার এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। তিনি ব্যাঙ্কের লোন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, লোনের ছলনায় নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর ওই কিশোরীকে অপহরণ ও বিয়ের পর মাসখানেক নিখোঁজ রাখে। পরে নাবালিকা পরিবারের কাছে ফিরে আসে, কিন্তু তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। হরিণঘাটা থানায় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের হয়।
Advertisement
অভিযুক্ত বারবার ঠিকানা পাল্টাত, পুলিশের ধাওয়া এড়াতে নানা উপায় অবলম্বন করত। এরপর পুলিশের আসল খেলা শুরু হয়। রানাঘাট পুলিশের সাইবার শাখার দুঁদে অফিসারদের তৎপরতায় ধাপ ধাপে সফলতা আসে। একটি ফোন নম্বর ট্র্যাক করে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানায়, তারপর পাথরপ্রতিমা এবং গোবর্ধনপুর এলাকায় পৌঁছে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়।
Advertisement
প্রায় ৩ মাস আগে গোবর্ধনপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাছ ধরার কাজ করছিল বিশ্বজিৎ। গ্রেপ্তারের দিন ট্রলারে জাল বুনছিল। পুলিশের টিম তাকে ট্রলারে বসেই চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কারও সিম ব্যবহার করছিল, সেটি ট্র্যাক করেই ধরা পড়ে।
অপারেশনে ছিলেন সাইবার থানার এসআই দেবারুন হালদার, শুভম হালদার এবং কনস্টেবল সুকান্ত বিশ্বাস, অরিজিৎ পাল ও বিধান চন্দ্র মণ্ডল। গোবর্ধনপুর থানার পুলিশও সহায়তা করেন।
পুলিশের টিমওয়ার্কে অভিযুক্তের সব পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সমুদ্রের মাঝখান থেকেও ধরা পড়ল অপরাধী। এ ঘটনাই প্রমাণ করে, অপরাধ করলে দূরপালাগামী সন্ত্রাসও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তে পারে।
Advertisement



