• facebook
  • twitter
Friday, 19 December, 2025

পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭৮ প্রাথমিক স্কুলে শুরু হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন

আগামী শিক্ষাবর্ষে রাজ্যজুড়ে মোট ২ হাজার ২০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হবে, যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে ৭৮টি বিদ্যালয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন করে ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক সংখ্যা এবং পরিবেশ উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে জানিয়েছেন, রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জেলার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করার আগে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হবে। ধাপে ধাপে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়েই পঞ্চম শ্রেণি চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।‘ উল্লেখ্য, রাজ্যে জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয় নতুন শিক্ষাবর্ষ।

Advertisement

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে হাই স্কুলগুলি থেকে পঞ্চম শ্রেণি তুলে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ৪৯ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে কোনও হাই স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণির অস্তিত্ব থাকবে না।

Advertisement

আগামী শিক্ষাবর্ষে রাজ্যজুড়ে মোট ২ হাজার ২০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হবে, যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে ৭৮টি বিদ্যালয়। তবে বিদ্যালয় বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষও সামনে এসেছে। ঘাটালের দাসপুর-২ ব্লকের সীতাপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার জানা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, শিক্ষক ও ছাত্রসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করা হয়নি। তাঁর মতে, কিছু বিদ্যালয়ে ন্যূনতম সুবিধা না থাকলেও সেখানে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে। এদিকে এবিপিটিএ-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবশেখর মণ্ডল রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও পরিকাঠামো ও শিক্ষক নিয়োগের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, অতিরিক্ত ক্লাসরুম (এসিআর) ও শিক্ষক নিয়োগ না করে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করলে লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে।‘ সংগঠনের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষক নিয়োগ করা জরুরি।

Advertisement