টানা দু’বার মাধ্যমিকে ফেল করায় আত্মঘাতী হল এক ছাত্রী। বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলের ওই পড়ুয়ার নাম সুপ্রিয়া ওরাওঁ। সে দলমণি চা বাগানের বাসিন্দা ছিল। জটেশ্বর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছোটবেলা থেকেই সুপ্রিয়া পিসির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করছে। ২০২৪ সালেও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয় সুপ্রিয়া। এবার ফলপ্রকাশের পর স্কুলে গিয়ে সে জানতে পারে, এই বছরও পাশ করতে পারেনি। পরিবারের দাবি, খারাপ ফলের জন্য সুপ্রিয়াকে কিছু বলাও হয়নি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরে সুপ্রিয়া। ঘরের ভেতর গানও চালিয়ে দেয় সে। তবে বহুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে দরজা খোলেনি।
এরপর পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় বাড়ির লোকেদের। এরপর জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সুপ্রিয়াকে। মৃতের পিসতুতো দিদি রিবিকা ওরাওঁ বলেন, ‘বোন ওর বন্ধু বান্ধবীদেরকেও রেজাল্ট দেখায়নি। আমরা ওদের কাছে শুনেছি, সুপ্রিয়া মার্কশিট রাস্তাতেই ছিঁড়ে ফেলেছে। আমরা স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেব।’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’