• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

বর্ধমানে জলাভূমি ভরাটের কাজ বন্ধ করলেন পুরসভার চেয়ারম্যান

বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার।

বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার। বর্ধমান শহরের ইছলাবাদে শশাঙ্ক বিল নামে একটি জলাভূমি রয়েছে। সেই জলাভূমি ভরাট করেই চলছিল হাউসিং কমপ্লেক্স গড়ার কাজ। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর পুরসভার চেয়ারম্যান সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। তারপরই কাজ বন্ধের নোটিস জারি করেন। আর এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।

কয়েক দিন আগে শহর বর্ধমানে শশাঙ্ক বিল ভরাটের খবর নিয়ে শহরে বিতর্ক দানা বাঁধে। অভিযোগ ছিল, ওই বিল ভরাট করে হাউসিং কমপ্লেক্স গড়ার কাজ শুরু করেছে একটি সংস্থা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বর্ধমান পুরসভার কাছে অভিযোগ পৌঁছে যায়। জানা গিয়েছে, ওই বিলের চারপাশে পাঁচিল ঘিরে দিয়ে ভিতরে গোপনে কাজ চলছিল। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পুরসভার আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার।

মাপজোখ করে দেখা যায় দুটি দাগে বেআইনি ভাবে নির্মাণের কাজ চলছে। পুরসভার প্রতিনিধি দলের মধ্যে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরাও ছিলেন। তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। চেয়ারম্যান সকলের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলাশাসক আয়েষা রানি বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে সূত্রের খবর।

শশাঙ্ক বিলের চরিত্র বদল নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে বিলের চরিত্র বদল হলেও নির্মাণ কাজ করার জন্য পুরসভার কাছে কোনও রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২১২ এবং ২১৪ দাগের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে জানার পর আপাতত কাজ বন্ধের নোটিশ জারি করল বর্ধমান পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, বিলের প্রায় ২৭ বিঘার মতো জায়গায় হাউসিং কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে শহরের বাসিন্দারা সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বর্ধমানের বড় নীলপুর মোড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

এমনকী ওই জলাভূমি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও চলছে। তার পরেও কীভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সূত্রের খবর কোনও এক প্রভাবশালীর মদতেই এই কাজ শুরু হয়। সর্বশেষ খবর, এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে সকল পক্ষের বৈঠকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে নির্মাণকারী সংস্থা জানিয়েছে, ১৯১ দাগ শশাঙ্ক বিলের আওতায়। সেখানে কিছু হচ্ছে না। শশাঙ্ক বিলের চরিত্র বদলেও তাদের কোনও ভূমিকা নেই। জমির কাগজপত্র দেখে পুরসভার হোল্ডিং নাম্বার পাওয়া গিয়েছে।